১১১ রকমের চিজ, গিনেস বুক জয়ী আজব পিৎজা
শ্রীকৃষ্ণের ১০৮ নামের মতই রয়েছে ১০৮-র বেশি বৈচিত্র্যময় স্বাদের চিজ। সেইসব বাহারি চিজকে পিৎজার একটা মণ্ডে ঠাঁই দেওয়া প্রায় অসম্ভব।
এ যেন একেবারে চিজে সাজানো বাগান। যেভাবে কামড় দাও, যেদিকে কামড় দাও, সবদিক শুধুই চিজময়। এমন পিৎজা হাতে পেলে পিৎজাবিলাসীদের জিভের জল জলপ্রপাত হতে বাধ্য। অভিনব সেই পিৎজা হাতে আসা মানে চাঁদ হাতে পাওয়া। সেই চাঁদই খাদ্যরসিকদের পেড়ে এনে দিলেন দুই মার্কিন শেফ।
জার্মানির রাজধানী বার্লিনের বিখ্যাত পিৎজা নির্মাণকারী সংস্থা ‘ভাদোলি পিৎজারিয়া’। সেখানে নানা স্বাদের পিৎজা খাইয়ে ভোজনরসিকদের মন ভরানোই কাজ মির্কো গাজারি এবং আন্দ্রিয়া পেলিগ্রানির।
এঁদের ২ জনের কাছে রান্না নিছক পেশা নয়, রান্না একটা শিল্প, একটা গবেষণা। সেই গবেষণার নেশাতেই পিৎজা রাঁধুনিরা সম্প্রতি গড়লেন এক নয়া বিশ্বরেকর্ড।
পিৎজাকে সুস্বাদু করতে ব্যবহার করা হয় নানা উপকরণ। যার মধ্যে অন্যতম জিভে জল আনা চিজ। শ্রীকৃষ্ণের ১০৮ নামের মতই রয়েছে ১০৮-র বেশি বৈচিত্র্যময় স্বাদের চিজ। সেইসব বাহারি চিজকে পিৎজার একটা মণ্ডে ঠাঁই দেওয়া প্রায় অসম্ভব।
অসম্ভবের সেই চ্যালেঞ্জ নিতেই কোমরবেঁধে লেগে পড়েন ২ শেফ। বেশ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় স্বাভাবিক আকারের পিৎজাকে রাজকীয় পোশাক পরিয়ে দেন তাঁরা।
মোজারেলা, এমেন্টাল, লিস্টারশায়ার, কোমতে সহ আরও দুর্বোধ্য সব চিজ। সংখ্যায় সেই চিজ পোশাকের পরিমাণ ১১১ রকমের! সর্বমোট ওজন ২৮৮ দশমিক ৬ গ্রাম।
নিঃসন্দেহে ওজন ও পরিমাণের দিক থেকে যা বৃহত্তর। ব্যস, মাপজোক পর্ব শেষে গিনেস বুকের কর্তাব্যক্তিদের শংসাপত্র পেতেই খুশির হাওয়া বয়ে যায় ‘ভাদোলি পিৎজারিয়া’ রেস্তোরাঁয়।
বিশ্বরেকর্ড তো হল। বাকি ছিল সেই রেকর্ডকে উদরবন্দির পালা। তাই আর দেরি না করে সুগন্ধে ভরপুর সেই চিজে মাখামাখি পিৎজার সদ্ব্যবহার করেন ক্রেতারাই।