পয়সা দিলেই যে কাউকে সঙ্গে পাওয়া যায়। এক লাইনে এভাবেই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে খোঁচা দিলেন কংগ্রেস সাংসদ গুলাম নবি আজাদ। গত বুধবারই একটি ভিডিও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে দেখা যায় কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল শ্রীনগরের সুনসান রাস্তায় কয়েকজন কাশ্মীরির সঙ্গে গল্প করছেন। তাঁদের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া রাস্তায় দাঁড়িয়েই করেন তিনি। আশ্বাস দেন কাশ্মীরের উন্নয়নের। ৩৭০-এর উপকারিতা তাঁদের বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করেন গল্পের অছিলায়। সেই ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লি ছাড়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এক লাইনে অজিত দোভালকে খোঁচা দিয়ে যান গুলাম নবি। যার অর্থ দাঁড়ায় অজিত দোভাল ওই কাশ্মীরিদের অর্থের বিনিময়ে ওখানে দাঁড় করিয়ে ছবি করিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার জম্মু কাশ্মীরেরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ দিল্লি থেকে শ্রীনগর উড়ে যান। সেখানে স্থানীয় কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক করার কথা ছিল। কিন্তু তাঁকে বিমানবন্দরেই আটকে দেওয়া হয়। ফলে তিনি শ্রীনগর শহরেই ঢুকতে পারেননি। বৈঠক তো দূরের কথা! পরে তাঁকে এয়ার ভিস্তারা বিমানে ফের দিল্লি পাঠিয়ে দেন সুরক্ষাকর্মীরা।
৩৭০ প্রত্যাহার ও জম্মু কাশ্মীরকে ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার ঘোষণার আগেই যদিও গোটা কাশ্মীরকেই কার্যত সুরক্ষা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়। প্রচুর সেনা, আধাসেনা ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়। অমরনাথ যাত্রা মাঝ পথেই বাতিল করা হয়। ভিন রাজ্যের বা বিদেশের মানুষকে জম্মু কাশ্মীর দ্রুত ছাড়ার কথা জানানো হয়। শ্রীনগরে জারি হয় ১৪৪ ধারা। শ্রীনগরের সঙ্গে যাবতীয় যোগাযোগ স্তব্ধ। এমনকি সাংবাদিকরা পর্যন্ত যোগাযোগ করতে পারছেন না। ইন্টারনেট, টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন। গোটা শহরটা ঘরে আশ্রয় নিয়েছে। কেবল সুরক্ষাকর্মীরা রাস্তায় মোতায়েন রয়েছেন। সুরক্ষাকর্মীদের গাড়ি যাতায়াত করছে। এছাড়া শহরে কোনও যানবাহন চলাচল করছে না। রয়েছে কড়া নজরদারি। ৩৭০-কে কেন্দ্র করে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যে প্রশাসন চাইছে না তা পরিস্কার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা