সকলেই একবাক্যে মেনে নেবেন বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক কখনই গ্রহণযোগ্য হতে পারেনা। এটা মেনে নেওয়া যায়না। কিন্তু ফ্রান্সের একটি অ্যাপ বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে উৎসাহী নারী পুরুষকে সেই সুযোগ করে দিচ্ছে। রীতিমত অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করে সেখান থেকে পার্টনার খুঁজে নেওয়া যায়। যাঁর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক স্থাপন করতে চান তাঁকে খুঁজে নিতে পারবেন সদস্যরা।
মনে হতেই পারে এসব পাশ্চাত্যে সম্ভব হতে পারে। ওদের সমাজে চলতে পারে। কিন্তু এসব অ্যাপ ভারতের মত রক্ষণশীল দেশে কখনই কেউ গ্রহণ করবেননা। অথচ খতিয়ান একদম অন্য কথা বলছে। দেখা গেছে এই অ্যাপে বহু ভারতীয় নাম লিখিয়েছেন। আর তার চেয়েও যেটা চমক দেওয়ার মত তা হল ভারতের যে শহরগুলি থেকে নারী পুরুষ বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি করতে চেয়ে এখানে সদস্য হয়েছেন সেই শহরগুলির মধ্যে কলকাতা ৩ নম্বরে।
ফ্রান্সের এই ডেটিং অ্যাপ গ্লিডেন বলছে, বেঙ্গালুরু শহর থেকে সবচেয়ে বেশি মানুষ বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে উৎসাহী। তাঁদের কাছে যে তালিকা রয়েছে তা থেকেই তা স্পষ্ট। ২ নম্বর শহর হিসাবে উঠে এসেছে মুম্বইয়ের নাম। আর তারপরেই রয়েছে কলকাতা। যেখানকার অনেক বিবাহিত নারী পুরুষ বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক চেয়ে গ্লিডেনে নাম লিখিয়েছেন। পার্টনারও পেয়েছেন। তাঁরা ২ জনেই এখন চুটিয়ে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত। যার যোগসূত্র হিসাবে কাজ করেছে একটি অ্যাপ।
পড়ুন : হু হু করে বাড়ছে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়তে অ্যাপের চাহিদা
ভারতের প্রথম যে ৫টি শহরের নারী পুরুষ বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি উৎসাহী সেসব শহরের তালিকা প্রকাশ করেছে গ্লিডেন। দেখা যাচ্ছে কলকাতার পরে চতুর্থ স্থানে রয়েছে দিল্লি। আর পঞ্চম স্থানে রয়েছে মুম্বইয়ের অদূরে পুনে। ভারতে এই গ্লিডেন অ্যাপের চাহিদা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। নাম লিখিয়েই চলেছেন বিবাহিত নারী পুরুষরা। তাঁরা অন্য পার্টনার চাইছেন। বিবাহিত জীবনের বাইরে এক অন্য পুরুষ বা নারী। যাঁর সঙ্গেও তিনি সময় কাটাতে চাইছেন।
তবে গ্লিডেন এটাও স্বীকার করেছে যে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক স্থাপনে ভারতে উৎসাহ নজরে পড়লেও তা অন্য অনেক দেশের থেকেই কম। আবার তাদের অ্যাপে নাম লেখানো বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক স্থাপনে উৎসাহীদের মধ্যে ১২ শতাংশ চাইছেন সমলিঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি করতে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা