যেখানে ভারতের ৪০ শতাংশ মহিলা মেনে নিয়েছেন যে তাঁরা স্বামী ছাড়াও অন্য পুরুষের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত। সেখানে ২৫ শতাংশ পুরুষ মেনে নিয়েছেন তাঁরা তাঁদের স্ত্রী ভিন্ন অন্য মহিলার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত। যার মানে দাঁড়ায় ভারতে পুরুষদের তুলনায় অনেক বেশি মহিলা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে আছেন। এক্সট্রা ম্যারিটাল ডেটিং অ্যাপ গ্লিডেন একথা জানাচ্ছে।
পড়ুন : অ্যাপে নাম লিখিয়ে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক তৈরির হিড়িক
ভারতীয় মহিলাদের তথাকথিত পতিব্রতা রূপকে কার্যত চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে একটি রিপোর্ট বলছে, ভারতের ৫৩ শতাংশ মহিলা স্বীকার করে নিচ্ছেন যে তাঁরা বৈবাহিক সম্পর্ক ছাড়াও অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলেছেন। অন্যদিকে ভারতীয় পুরুষরাও স্বীকার করেছেন উল্টোটা। তবে তাঁদের সংখ্যা ৪৩ শতাংশ। এক্ষেত্রেও পুরুষদের পিছনে ফেলেছেন মহিলারা।
পড়ুন : বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে দেশের মধ্যে ৩ নম্বরে তিলোত্তমা
রিপোর্ট বলছে, স্বামী ছাড়াও অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে ভারতীয় মহিলারা অনেক বেশি খোলা মনের হন। বৈবাহিক সম্পর্ক নিয়ে অখুশি হওয়া বা অত্যধিক চাপ তাঁদের প্রেম বা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে অনেকটা খোলা মনের করে দিয়েছে। গ্লিডেন অ্যাপ-এর তরফে জানানো হচ্ছে, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে মহিলাদের অনেকেই উৎসাহী হলেও তাঁরা চান তাঁদের এই অভিসারের কথা কেউ যেন জানতে না পারেন। আর সেখানেই গ্লিডেনের দাবি তারা সফল হয়েছে। গ্লিডেন নিশ্চিত করছে এই গোপনীয়তা নিয়ে।
পড়ুন : হু হু করে বাড়ছে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়তে অ্যাপের চাহিদা
কলকাতাও এর বাইরে নয়। কলকাতাতেও অনেক মহিলা ও পুরুষের গ্লিডেনে অ্যাকাউন্ট রয়েছে। গ্লিডেন বলছে, অনেকে চান সাধারণ দৈহিক সম্পর্ক। কেউ চান একটি রাতের জন্য ঘনিষ্ঠ হতে। তবে সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে মহিলারাই। অন্তত এমনই দাবি করেছে গ্লিডেন। কিন্তু কীভাবে এমন সম্পর্ক তৈরির সাহস পাচ্ছেন পুরুষ বা মহিলারা? রিপোর্ট বলছে, ভারতীয় পুরুষ বা মহিলারা যদি তাঁর স্বামী বা স্ত্রীর অন্য সম্পর্কের কথা জেনেও ফেলেন, তাহলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাঁরা ক্ষমার রাস্তায় হাঁটেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা