সিনেমার শ্যুটিং হচ্ছে বুঝতে না পেরে দমকলে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা
সিনেমার শ্যুটিং যে হচ্ছে তা তাঁরা বুঝতেও পারেননি। স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়েন। সময় নষ্ট না করে খবর দেন দমকলে।
সিনেমার শ্যুটিংয়ে নানা ধরনের দৃশ্যের আবহ তৈরি করতে হয়। তারপর তা ক্যামেরাবন্দি করা হয়। এখন অনেক দৃশ্যে প্রযুক্তির কারিগরি ব্যবহার হওয়ায় সব সময় আবহ তৈরির হয়তো প্রয়োজন পড়েনা।
অনেক দৃশ্য গ্রিন স্ক্রিনের সামনে ক্রোমা প্রযুক্তি ব্যবহার করেও দৃশ্যায়ন হয়ে যায়। কিন্তু একটা সময় ছিল সিনেমায় পরিবেশ তৈরি করতে হত। তেমনই এক আবহ তৈরির ধাক্কায় সেটে আচমকা হাজির হয় দমকল।
আন্তর্জাতিক সিনেমায় ভিক্টর ফ্লেমিংয়ের ‘গন উইথ দ্যা উইন্ড’ একটি মাইলস্টোন সিনেমা। যা চিরকাল সিনেমার ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। ১৯৩৯ সালের সেই সিনেমায় সে সময় একটি আগুনের দৃশ্যের শ্যুটিং হয়েছিল। যা হয়েছিল সিনেমার সব চরিত্রের অভিনেতা অভিনেত্রীদের নেওয়ার আগেই।
দৃশ্যটির শ্যুটিং করতে সে সময় খরচ হয়েছিল ২৫ হাজার ডলার। সেটাই ছিল তখনও পর্যন্ত একটি দৃশ্যের শ্যুটিংয়ে সবচেয়ে বেশি খরচ।
আটলান্টা পুড়ছে এমনটাই ছিল দৃশ্য। মূল অভিনেতা অভিনেত্রীদের জায়গায় দৃশ্যে তাঁদের ডামিরা কাজ করেছিলেন। দৃশ্যটি এক বিশাল আগুনের দৃশ্য।
সেটি মূল সিনেমার শ্যুটিং যে স্টুডিওতে হচ্ছিল তারই পিছনের একটি বিশাল খোলা জমিতে হয়েছিল। সেখানে অন্য সিনেমার শ্যুটিংয়ের ফেলে দেওয়া সেট এনে তাতে আগুন ধরিয়ে তা ক্যামেরাবন্দি করা হচ্ছিল।
এদিকে আশপাশের মানুষ সিনেমার শ্যুটিং হচ্ছে জানতেন না। তাঁরা ভেবেছিলেন স্টুডিওতে আগুন লেগে গেছে। আতঙ্কে তাঁরা দমকলে খবর দেন। হাজির হয় দমকল। পরে অবশ্য পুরো বিষয়টি সকলের কাছে পরিস্কার হয়ে যায়।