জিএসটির প্রতিবাদে আগেই বন্ধের পথে হেঁটেছেন বস্ত্র ব্যবসায়ীরা। এবার সেই একই রাস্তায় হাঁটলেন রাজ্যের অন্য ব্যবসায়ীরাও। মোট ১৮টি ব্যবসায়ী সংগঠন এদিন বন্ধে সামিল হয়। জিএসটি লাগু হওয়া আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তার আগে বন্ধে স্তব্ধ ছিল এদিনের ব্যস্ত বড়বাজার। বন্ধ ছিল পোস্তা বাজারও। ‘কো-অর্ডিনেশন কমিটি অফ বড়বাজার-পোস্তা বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন’-এর ডাকে এদিন বন্ধে সামিল হন কলকাতার বড়বাজার ও পোস্তার প্রায় ৭ হাজার ৮০০ জন ব্যবসায়ী। সকালে পোস্তা ও বড়বাজার এলাকায় মিছিলও করেন তাঁরা। পরে বিভিন্ন কোণায় প্রতিবাদ সভা করা হয়। স্বভাবতই বড়বাজার বা পোস্তার মত ব্যস্ত বাজারে এদিন কোনও বিকিকিনি হয়নি। বন্ধ ছিল সব দোকান। জিএসটির প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের ঐক্য এদিনের দুই বাজারের চেহারার দিকে নজর দিলেই পরিস্কার। কমিটির তরফে আহ্বায়ক তাপস মুখোপাধ্যায় জানান, তাঁদের দাবি ১ কোটি টাকার লেনদেনের ওপর থেকে জিএসটি প্রত্যাহার করে নিতে হবে। ১ কোটি থেকে ২ কোটি টাকার লেনদেনের ওপর কম্পোজিট জিএসটি লাগু করতে হবে। যার হার ০.২৫ শতাংশের বেশি হবে না। এছাড়া ক্ষুদ্র ও ছোট ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে জিএসটি-র সরলীকরণ করতে হবে। এদিন শুধু বড়বাজার বা পোস্তা বলেই নয়, নিউমার্কেট থেকে শুরু করে অনেক বাজারই বন্ধ থেকেছে। জিএসটির প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে প্রায় ৩০ লক্ষ ব্যবসায়ী এদিন বন্ধের পথে হেঁটেছেন।