আগামী সোমবার চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেবে ভারতের চন্দ্রযান। চাঁদের মাটিতে নেমে সেখানকার খনিজ নিয়ে গবেষণা চালাবে। চাঁদে পাড়ির সেই ঐতিহাসিক মুহুর্তের অপেক্ষায় গোটা দেশ। তার আগে শুক্রবার মানুষের প্রথম চাঁদে পা দেওয়ার ৫০ বছর পূর্তি পালন করল সার্চ ইঞ্জিন গুগল। গুগল তার ডুডলের মধ্যে দিয়ে সেই চাঁদে প্রথম মানুষের পদার্পণের ৫০ বছর পূর্তি পালন করল।
একটি ৪ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডের অ্যানিমেশনের মধ্যে দিয়ে ১৯৬৯ সালের জুলাইয়ের সেই চন্দ্রাভিযানকে তুলে ধরা হয়। কথকের ভূমিকায় ছিলেন মাইকেল কলিন্স। যে ৩ জন চাঁদে পাড়ি দিয়েছিলেন তাঁদেরই একজন। তাঁর মুখেই উঠে এসেছে সেই বিরল অভিজ্ঞতার কথা। একেবারে রকেট ওড়া থেকে শুরু করে চাঁদ পর্যন্ত পাড়ি দিয়ে, সেখানকার মাটিতে পা দিয়ে, ফের যানে চড়ে পৃথিবীতে ফিরে আসা। সবশেষে ৩ নভশ্চর নীল আর্মস্ট্রং, মাইকেল কলিন্স ও এডুইন অলড্রিনকে নিয়ে যানটির প্রশান্ত মহাসাগরে অবতরণ। পৃথিবী থেকে চাঁদে গিয়ে ফের পৃথিবীতে ফিরে আসা ডুডল তার অ্যানিমেশনের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরে।
যে অ্যানিমেশন এদিন ডুডলে নজর কেড়েছে তা গুণগত দিক থেকে যেমন অত্যন্ত মনোগ্রাহী তেমনই এই ৪ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডের অ্যানিমেশনটি দেখলে ছোটদের ভাল লাগবে। সেইসঙ্গে তারা চন্দ্রাভিযানের একটা ধারণাও পাবে। বুঝতে পারবে কীভাবে একটা রকেট থেকে মূল যান ক্রমশ খোলস ছাড়িয়ে বেরিয়ে আসে। চাঁদে পাড়ি দেওয়ার এই দুরন্ত অ্যানিমেশনে বাড়তি পাওনা মাইকেল কলিন্সের মুখ দিয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরা। চাঁদের কাছে পৌঁছে তিনি কী দেখলেন, সেখান থেকে পৃথিবীকে দেখতে পাওয়ার অভিজ্ঞতা, এসবই তিনি শেয়ার করেছেন।
অ্যানিমেশনের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে আজ থেকে ৫০ বছর পূর্বেও কতটা আধুনিক ছিল প্রযুক্তি। নাসা তো বটেই, সেইসঙ্গে সারা বিশ্বের ঘরে ঘরে কীভাবে এই চাঁদে পাড়ি ও চাঁদের মাটিতে পা রাখা আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল তাও উঠে এসেছে এই রঙিন ঝকঝকে অ্যানিমেশনে। সবমিলিয়ে মানুষের চাঁদে পা দেওয়ার ৫০ বছর পূর্তিকে সেলাম জানিয়ে ডুডলের এই প্রয়াস অবশ্যই তারিফের দাবি রাখে।