SciTech

মহীয়সী বঙ্গনারীকে গুগলের অনন্য কুর্নিশ

এক মহীয়সী বঙ্গনারীকে সম্মান জানান গুগল। তাদের ডুডল তৈরি হয়েছে এই বঙ্গনারীকে কুর্নিশ জানিয়ে। যে নারী বাঙালির গর্ব হয়ে বেঁচে থাকবেন চিরকাল।

সমাজের সঙ্গে লড়াই। নারীকে নিয়ে প্রচলিত সমাজ ভাবনার বিরুদ্ধে লড়াই। পুরুষতান্ত্রিক সমাজের থেকে আসা নানা বাধার বিরুদ্ধে লড়াই। কিন্তু লক্ষ্য স্থির।

বঙ্গ সমাজের চরম প্রতিরোধকে জয় করে যে লক্ষ্যে স্থির থাকলে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছনো সম্ভব তা দেখিয়ে দিয়েছিলেন এক অসামান্য বঙ্গ নারী কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়। হয়েছিলেন ভারতের প্রথম মহিলা চিকিৎসক। সেই বঙ্গনারীকে সম্মান জানাল গুগল।


কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়ের ১৬০ তম জন্মবার্ষিকীতে রবিবার গুগল খুললেই ফুটে উঠছে একটি স্টেথো, মেডিক্যাল কলেজ, এক দৃঢ়চেতা নারীর মুখ। যিনি সেই সময় শুধু ভারতবাসীকেই নন, ইংরেজদেরও হতবাক করে দিতে পেরেছিলেন।

গুগল তার ডুডলের মাধ্যমে এমন কৃতী মানুষদের সম্মান জানিয়ে থাকে। এদিন তারা বেছে নিয়েছে কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়কে। তাঁকে যথাযোগ্য সম্মান জানিয়েছে।


বাঙালির মনে যদি দিনটি কিছুটাও ঝাপসা হয়েও থাকে, তো এদিন গুগলে সার্চ করতে গেলেই সেই ঝাপসা ভাবটা কেটে যাবে। সকলের মনে পড়বে সেই মহীয়সী নারীকে। যিনি তাঁর জন্মবার্ষিকীতে অবশ্যই সম্মানের দাবি রাখেন।

সেদিক থেকেও ডুডল এদিন কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়কে সম্মান জানিয়ে বাঙালিকে মনে করিয়ে দিল এই নারীর কথা। তাঁর অসামান্য ইতিহাস গড়ার কথা। এটাও কম কথা নয়।

ভাগলপুরের মেয়ে কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায় পড়াশোনা করতে চলে আসেন কলকাতায়। সেখান থেকেই তাঁর জীবন সংগ্রামের শুরু।

বেথুন কলেজ থেকে স্নাতক হন কাদম্বিনী। পাশ করে তিনি মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়া শুরু করেন। এই সময় পাশে পেয়েছিলেন স্বামী দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়কে।

স্বামীর পাশে থাকা কাদম্বিনীকে সমাজের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি জুগিয়েছিল। পরে তিনি চলে যান ইংল্যান্ডে। এডিনবারা কলেজ অফ মেডিসিন ফর ওম্যান থেকে পাশ করে কলকাতায় ফেরেন।

শুধু চিকিৎসক হিসাবেই নয়, সামাজিক নানা কাজের সঙ্গেও কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায় যুক্ত ছিলেন। ১৯২৩ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়।

Show Full Article
Back to top button