ঠিক ৩৬ বছর আগের কথা। ১৯৮২ সালের ২৭ এপ্রিল জ্ঞানপীঠ পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিলেন মহাদেবী বর্মা। ব্রিটিশ শাসিত ভারতে ১৯০৭ সালের ২৬ মার্চ উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদের রক্ষণশীল পরিবারের জন্ম হয় তাঁর। মায়ের কাছ থেকে হিন্দি ও সংস্কৃত নিয়ে পড়াশুনা ও লেখালেখির অনুপ্রেরণা পান তিনি। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে অবহেলার শিকার মেয়েদের হয়ে কলম ধরেছিলেন মহাদেবী। নারীর অধিকার রক্ষার প্রশ্নে কলম ও কবিতাই হয়ে উঠেছিল তাঁর অস্ত্র। ভারতীয় তথা হিন্দি সাহিত্যে তাঁর অনন্য বৈপ্লবিক অবদান আজ কজনই বা মনে রেখেছেন? কজন পরিচিত মহাদেবী বর্মার সৃষ্টি বা তাঁর মননের সঙ্গে? বর্তমান প্রজন্মকে তাই দেশের অন্যতম প্রতিভাময়ী মহিলা কবির সঙ্গে পরিচয় করাতে তাই এগিয়ে এল গুগল।
শুক্রবার গুগল ডুডল উৎসর্গ করল কবি মহাদেবী বর্মার নামে। এদিন গুগল খুললেই একটি হাতে আঁকা ছবি নজরে আসছে। এক রমণীর ছবি। যিনি সবুজ প্রান্তরের একটি গাছের ছায়াতলে খাতা কলম হাতে লিখে চলেছেন। অদ্ভুত মনোলোভা ছবিটির চিত্রকর সোনালি জোহরা। ছবির রমণী আর কেউ নন, পরাধীন দেশের স্বাধীনতার স্বপ্নে বুঁদ মহাদেবী বর্মা। ১৯৮৭ সালের ১১ সেপ্টেম্বর প্রয়াত হন হয় নিও-রোম্যান্টিক কাব্যধারার এই শক্তিশালী কবি।