মায়ের নাম ভিক্টোরিয়া। আর তাঁর নাম অ্যাঞ্জেলিনা। ১৮৭৩ সালে তাঁর জন্ম। বেশ কিছুদিন পর তাঁকে ও তাঁর মাকে ছেড়ে চলে যান তাঁর বাবা। অগত্যা ব্রিটিশ ইন্ডিয়ায় আজমগড় থেকে ভাগ্যান্বেষণে তাঁকে নিয়ে বেনারস চলে আসেন তাঁর মা। সেখানে হিন্দুস্তানি ঘরানার গানের তালিম নিতে থাকেন তাঁর মা। সঙ্গে চলে মেয়ের তালিমও। এখানেই ভিক্টোরিয়া মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করে হয়ে যায় মলিকাজান। আর মেয়ের নাম অ্যাঞ্জেলিনা থেকে বদলে রাখেন গহরজান। গানের পাশাপাশি চলে ধ্রুপদী নৃত্যের অনুশীলনও।
১৮৮৩ সালে মা-মেয়ে কলকাতায় চলে আসেন পাকাপাকিভাবে। চিৎপুরে বাড়ি কেনেন। ঠুমরী, দাদরা, কাজরি, তরানা, ভজনের মত হিন্দুস্তানি ঘরানার সঙ্গীতে ক্রমশ খ্যাতি অর্জন করতে থাকেন গহরজান। এমনকি একসময় রবীন্দ্রসঙ্গীতেও তিনি নিজের প্রতিভার সাক্ষর রাখেন। সঙ্গে কত্থক সহ বিভিন্ন ধরণের ধ্রুপদী নাচেও গহরজান পারদর্শী হয়ে ওঠেন।
পরবর্তীকালে তাঁর গলায় বহু গান ভারতীয় মার্গ সঙ্গীতের জগতে চিরস্মরণীয় হয়ে আছে। একের পর এক রেকর্ড বার হতে থাকে। গহরজানের রেকর্ড বাজারে আসার মানেই ছিল তার মারকাটারি বিক্রি। তাঁর জীবনে তিনি ৬০০-র ওপর রেকর্ডে গান গেয়েছেন। একেবারে শেষ জীবনে ১৯২৮ সালে তিনি কলকাতা ছেড়ে মাইসোরের রাজার আমন্ত্রণে সেখানে চলে যান। সেখানেই ১৯৩০ সালে গহরজানের মৃত্যু হয়। তাঁর প্রতিভা আজও অম্লান। ভারতীয় মার্গ সঙ্গীতে আজও তিনি এক অন্যতম স্তম্ভ। সেই গহরজানের মঙ্গলবার ছিল ১৪৫ তম জন্মবার্ষিকী। সেকথা মাথায় রেখে এদিন তাদের ডুডলে গহরজানকে সম্মান জানাল গুগল।