মুখ্যমন্ত্রী অপমানিত হতে পারেন এমন কোনও কথা তিনি বলেননি। হুমকিও দেননি। মুখ্যমন্ত্রীর তাঁর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন। এদিন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পাল্টা এমনই দাবি করলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। রাজভবন থেকে প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী বা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তোলা একের পর এক অভিযোগ খণ্ডন করার চেষ্টা করেছেন রাজ্যপাল। তাঁর দাবি, নিজেদের প্রশাসনের ব্যর্থতা ঢাকতেই নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছেন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর দিকে আঙুল না তুলে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ফেরানোয় মুখ্যমন্ত্রীর মন দেওয়া উচিত বলে পরামর্শ দেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের অভিযোগ তাঁকে ব্ল্যাকমেল করতে মানুষের আবেগকে কাজে লাগানো হচ্ছে। তাঁর এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল দাবি করেন সাংবিধানিক রীতিনীতি, নিয়ম তাঁর জানা। এ বিষয়ে কারও কাছ থেকে তাঁকে শিখতে হবে না। মুখ্যমন্ত্রী মানুষের ভোটে নির্বাচিত হতে পারেন, তবে তিনিও মানুষের ভোটে নির্বাচিত সরকারের নির্বাচিত ব্যক্তি। রাজভবন রাজ্য সরকারের দফতর নয় বলে জানিয়ে কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর দাবি, এখানে যে কেউ অভিযোগ জানাতে আসতে পারেন। রাজভবন কেবলমাত্র বিজেপি বা আরএসএস-এর নয়।