গ্র্যান্ড চেস ট্যুর-এর চূড়ান্ত পর্যায়ে কারা যোগ্যতা অর্জন করবেন তারই একটি পর্ব এখন চলছে বুদাপেস্টে। সেখান থেকে শেষ ধাপে লড়াই করতে সোজা কলকাতায় হাজির হচ্ছেন বিশ্বনাথন আনন্দ। শহর কলকাতায় ৮০-র দশকে গ্র্যান্ড মাস্টার প্রতিযোগিতা দিয়ে এ শহরে বিশ্বের নামীদামী দাবাড়ুদের আগমন শুরু হয়েছে। তারপর অনেকগুলো বছর পার হয়ে গেছে। কিন্তু বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, প্রাক্তন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন সহ বিশ্বের প্রথমসারির ১০ জন দাবাড়ু এ শহরে একসঙ্গে পদার্পণ করেননি। আগামী ২২ নভেম্বরের আগে করছেন। কলকাতায় হাজির হচ্ছেন তাঁরা।
কলকাতার দাবা প্রেমীরা অবশ্য মুখিয়ে আছেন আনন্দ-কার্লসেনের লড়াই দেখার জন্য। কলকাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরি চত্বরে এই লড়াই দেখার সুযোগ মিলবে। আগামী ২২ ও ২৬ নভেম্বর ব়্যাপিড ও ব্লিৎজ গেম অনুষ্ঠিত হবে। কার্লসেন অবশ্য এই প্রতিযোগিতায় এখনও পয়েন্ট সংগ্রহের নিরিখে এগিয়ে আছেন। আনন্দ কিছুটা পিছিয়ে আছেন। তবে কলকাতায় ঠিকঠাক পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পারলে আনন্দও চূড়ান্ত পর্যায়ে খেলার সুযোগ পাবেন।
প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন গ্যারি কাসপারভের হাত ধরেই এই প্রতিযোগিতার শুরু হয়। এবার এই প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা হবে ডিসেম্বরের শুরুতে লন্ডনে। তার আগে কলকাতাই যোগ্যতা অর্জনের শেষ পর্যায়। আর সেখানেই কার্লসেন ও আনন্দ মুখোমুখি। কলকাতা কখনও আনন্দকে নিরাশ করেনি। তাই এবারও তিনি কার্লসেনকে এই শহরের বুকে হারাতে সক্ষম হবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিকে কার্লসেন ও আনন্দ ২ জনই ওই সময় কলকাতায় আসায় তাঁদের দিয়ে ইডেনে গোলাপি বলে দিন রাতের টেস্টের সূত্রপাত করার পরিকল্পনা করেছে সিএবি। ভারতীয় দল এই প্রথম কোনও দিন রাতের টেস্ট খেলতে চলেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা