শুকিয়ে যাওয়ার মুখে নোনা জলের হ্রদ, সল্ট লেক সিটিতে ছড়াচ্ছে বিষাক্ত ধুলো
নোনা জলের হ্রদ পুরো শুকিয়ে যেতে চলেছে। একে তো শুকিয়ে যাচ্ছে, তারওপর এখান থেকে ছড়াচ্ছে বিষাক্ত ধুলো। যা ছড়িয়ে পড়েছে সল্ট লেক সিটিতেও।
অন্যতম দ্রষ্টব্যের তালিকায় পড়ে এই নোনা জলের হ্রদ। যা দেখতে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ হাজির হন এখানে। তবে তা আর বেশিদিন হবে না। কারণ শুকিয়ে যাচ্ছে ওই বিশাল হ্রদ। জলস্তর হুহু করে নামছে। অনেকটা অংশ শুকিয়ে সেখানে মাটি বেরিয়েও পড়েছে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন শুকিয়ে যাওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা। একে তো একটা আস্ত হ্রদ শুকিয়ে যাচ্ছে। তারওপর স্থানীয়দের জন্য আরও বড় চিন্তার কারণ হয়েছে হ্রদ থেকে ছড়াচ্ছে বিষাক্ত ধুলো।
আমেরিকার ইউটা রাজ্যের অন্যতম দ্রষ্টব্য এখানকার গ্রেট সল্ট লেক। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ নোনা জলের হ্রদ এটি। নোনা জলের হ্রদ হিসাবে রয়েছে বিশ্বের মধ্যে অষ্টম স্থানে।
তার বিপুল জলরাশি যাচ্ছে শুকিয়ে। সেইসঙ্গে হ্রদের শুকিয়ে যাওয়া অংশ থেকে ধুলো উড়ে আসছে স্থানীয় লোকালয়ে। সেই ধুলো সাধারণ ধুলো নয়। তাতে রয়েছে বিষাক্ত উপাদান। যা স্থানীয়দের জন্য চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে।
এই হ্রদের ধারেই রয়েছে সেখানকার বিখ্যাত শহর সল্ট লেক সিটি। এখানকার প্রায় ১২ লক্ষ বাসিন্দার এখন চিন্তায় রাতে ঘুম উড়েছে। যেভাবে বিষাক্ত ধুলো ঢুকছে শহরে তাতে চিন্তা হওয়ারই কথা।
৮ হাজার ৫৪৬ বর্গ কিলোমিটারের হ্রদ শুকিয়ে এখন ২ হাজার ৫৮৯ বর্গ কিলোমিটারে জল রয়েছে। তাও হুহু করে শুকিয়ে যাচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই হ্রদের তলদেশে বহুকাল ধরে জমা হয়েছে মানুষেই কার্যকলাপে তৈরি হওয়া খনিজ সামগ্রি, গলিত ধাতু, কৃষিকাজে অব্যবহৃত আবর্জনা। যা এতদিন জলের তলায় জমা ছিল।
এখন জল শুকিয়ে যাওয়ায় সেই তলদেশ বাতাসের সংস্পর্শে এসেছে। আর এখান থেকে যে ধুলো উড়ছে তাতে থাকছে প্রচুর পরিমাণে আর্সেনিক। এখন এ থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা