এ দেশে বিয়ের পর কনের গায়ে থুতু ছেটান আমন্ত্রিতরা
কারও গায়ে থুতু ছেটানো এক অত্যন্ত গর্হিত কাজ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু এমনও এক দেশ রয়েছে যেখানে কনের গায়ে থুতু ছেটানোই প্রথা।
পৃথিবীতে এমন অনেক প্রথা রয়েছে যা কখনওই শোভন হতে পারেনা। এমনই একটি প্রথা হল সদ্যবিবাহিতার গায়ে থুতু ছেটানো। এই থুতু আবার আমন্ত্রিতরা ছিটিয়ে দেন।
এ এক বহু প্রাচীন প্রথা। যা বিশ্বের কেবল একটিমাত্র দেশেই চলে আসছে। এখানে কনের গায়ে থুতু ছেটানোর পিছনে কিন্তু উদ্দেশ্যটা ভাল। সৎ উদ্দেশ্য নিয়েই এই থুতু ছেটানোর পালা চলে।
গ্রিসের মানুষ প্রাচীনকাল থেকেই বিশ্বাস করেন এই প্রথা পালিত হওয়া মানে তা ওই কনের বিবাহিত জীবনকে ভাল করবে। যে কোনও খারাপ কিছু থেকে তাঁদের রক্ষা করবে।
এই প্রথাটি গ্রিসে এখনও পালিত হয়ে আসছে। তবে একটু বদলে নিয়েছেন বর্তমান যুগের গ্রিসবাসী। তাঁরা এই কনের গায়ে থুতু ছেটানোকে এখন রূপক হিসাবে পালন করেন।
তার মানে তাঁরা কনের কাছে গিয়ে থুতু ছেটানোর আওয়াজ করেন মুখ থেকে। কিন্তু সত্যিই থুতু ছিটিয়ে দেন না। সময়ের সঙ্গে থুতু ছেটানো যে অশোভন তা নতুন প্রজন্মের গ্রিসবাসী মেনে নিয়েছেন।
আবার তাঁরা প্রাচীন প্রথাকেও একদম তুলে দিতে চাননি। তাই থুতু ছেটানোর শব্দ করার মধ্যে দিয়ে তাঁরা এই প্রথাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন তাঁদের মধ্যে।
গ্রিসের সভ্যতা এক প্রাচীনতম সভ্যতা হিসাবেই বিশ্বজুড়ে প্রসিদ্ধ। ইউরোপীয় সভ্যতার বিকাশে গ্রিসের এক বড় ভূমিকা রয়েছে। সেখানকারই এক প্রাচীন প্রথা এই কনের গায়ে থুতু ছেটানো এভাবেই এখনও বেঁচে আছে সেখানকার মানুষের জীবনে।