লাভার গরমে তৈরি হচ্ছে আগ্নেয়গিরি পিৎজা, জমিয়ে খাচ্ছেন পর্যটকেরা
খাবারটা চেনা বটে। তবে তা রাঁধার জন্য যে উত্তাপ ব্যবহার করা হচ্ছে তা আগ্নেয়গিরি থেকে বেরিয়ে আসা গলিত লাভার। যার তাপমাত্রা ১ হাজার ডিগ্রির ওপর।
আগ্নেয়গিরি জেগে উঠেছে। একথা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল স্থানীয় প্রশাসন। প্রায়ই জেগে ওঠে এই আগ্নেয়গিরি। অগ্নুৎপাত শুরু হয়। জ্বালামুখ থেকে বেরিয়ে আসে গলিত লাভার স্রোত। যা এক কথায় আতঙ্কের।
সেই লাভা বেরিয়ে আসার পর তা যে কারও উনুন হতে পারে সেকথা বোধহয় কল্পনা করা মুশকিল। যে আগ্নেয়গিরি দেখে মানুষ পালান সেই আগ্নেয়গিরির লাভার উত্তাপকে কাজে লাগিয়ে সেখানে একটি চলমান রান্নাঘর বানিয়ে ফেললেন এক ৩৫ বছরের যুবক।
যেখানে লাভার উত্তাপ ১ হাজার ডিগ্রির ওপর, সেই ভয়ংকর লাভার ওপর পিৎজা তৈরি করে গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছেন তিনি।
গুয়াতেমালার পাকায়া আগ্নেয়গিরি গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই লাভা উদ্গিরণ শুরু করেছে। লাভা বেরিয়ে এসে শক্ত হয়ে যাচ্ছে। কালো হয়ে যাওয়া লাভার উত্তাপ থাকছে ১ হাজার ডিগ্রির ওপর।
সেখানেই পিৎজা ব্রেড তৈরি করে, তার ওপর বিভিন্ন সস, চিজ, মাংসের টুকরো, টমাটোর টুকরো দিয়ে সবকিছু প্রস্তুত করছেন ডেভিড গার্সিয়া নামে এক যুবক।
তারপর বিশেষ পোশাক ও জুতো পরে একটি ট্রে-তে পিৎজাটি নিয়ে তা সেঁকছেন তাঁর চারপাশে ছড়িয়ে থাকা লাভার ওপর। তাঁর পোশাক ওই উত্তাপ সহ্য করতে পারে। ফলে তাঁর সমস্যা হচ্ছেনা।
এদিকে ওই ট্রেটি মিনিট দশেক লাভার ওপর রেখে দিচ্ছেন ডেভিড। ১০ মিনিটেই তৈরি হয়ে যাচ্ছে পিৎজা। তারপর তার ওপর চিজ ছড়িয়ে দিয়ে তা সার্ভ করছেন স্থানীয় মানুষ থেকে পর্যটকদের।
পাকায়া আগ্নেয়গিরি পিৎজা নাম দেওয়া হয়েছে এই লাভায় সেঁকা পিজার। যা খেতে ভিড় জমাচ্ছেন মানুষজন। জমিয়ে উপভোগ করছেন তার স্বাদ।
ফলত ডেভিড গার্সিয়ার ব্যবসা ফুলে ফেঁপে উঠেছে। সেইসঙ্গে এমন অভিনব ভাবনার ফলে সারা বিশ্বের মানুষ এখন তাঁকে চিনে গিয়েছেন।