আগ্নেয়গিরির আগুনে রান্না করে খেলেন এক মহিলা
মানুষের শখের সীমারেখা কি আঁকা সম্ভব। বোধহয় নয়। নাহলে কেউ এক সক্রিয় আগ্নেয়গিরিতে বেড়াতে যান, সেখানে গিয়ে রান্না করেও খান?
মানুষ তাঁর কল্পনায় তৈরি ইচ্ছাপূরণ করতে কতটা ঝুঁকি নিতে পারেন তার এক উদাহরণ হল একটি ঘটনা। এক মহিলা ব্লগার বেড়াতে গিয়েছিলেন একটি আগ্নেয়গিরিতে। মৃত আগ্নেয়গিরি দেখতে অনেকেই যান। কিন্তু সক্রিয় আগ্নেয়গিরির আশপাশে যাওয়াটাও ঝুঁকির।
ওই ব্লগার কিন্তু তাঁর শখ পূরণ করতে সেই ঝুঁকি নেন। আগ্নেয়গিরিটিতে যাওয়ার সময় সঙ্গে নেন এক স্থানীয় মানুষকে। ঠিক করেছিলেন সেখানে গিয়ে রান্না করে খাবেনও। ওই ব্যক্তিই তাঁকে এ কাজে সাহায্য করেন।
ওই স্থানীয় মানুষটি ওই মহিলাকে আগ্নেয়গিরির ঢালে একটি পাথরের ওপর বসান। তারপর একটি পিৎজা ব্রেডের ওপর চিজ এবং অন্যান্য উপাদানের টপিং করে সেটিকে পাশেই আগ্নেয়গিরির কালো পাথরের জ্বলন্ত একটি খাঁজে ঢুকিয়ে দেন।
আগ্নেয়গিরির উত্তাপ সেখানে কম নয়। সেই উত্তাপে দিব্যি তৈরি হয়ে যায় পিৎজা। যা তারপর বার করে ওই আগ্নেয়গিরির কালো পাথরকে টেবিল করে খেতে বসেন ওই ব্লগার। চেয়ার হিসাবে ব্যবহার করেন একটি উঁচু আগ্নেয়শিলা খণ্ডকে। সেই ছবিও তোলা হয়।
গুয়াতেমালার ভলকান পাকায়া-তে তোলা এই ছবি ছড়িয়ে পড়ে ইন্টারনেটে। যে আগ্নেয়গিরি এখনও সক্রিয়, সেখানে এভাবে রান্না করে পিৎজা খাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে কিছুটা অবাক সকলে।
এই ঝুঁকি নেওয়ার আদৌ কোনও দরকার ছিল কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। তবে গরম লাভায় পিৎজা রান্না করে খাওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগেও এই শখ পূরণ করতে দেখা গেছে।