আনন্দ হলে ভুট্টার খই হয়ে যায় এই প্রাণি
আনন্দ এমন একটা অনুভূতি যা চেপা রাখা কঠিন। তা কোনও না কোনওভাবে প্রকাশ হয়েই যায়। যেমন এই প্রাণির আনন্দ হলে তারা ভুট্টার খই হয়ে যায়।
জীবনে চলার পথে নানা অনুভূতির সামনে পড়তে হয় মানুষ সহ নানা প্রাণিকে। সব প্রাণির সব ধরনের অনুভূতি প্রকট হয়না। তবে আনন্দ হয় অনেক প্রাণিরই। আর আনন্দ এমন এক অনুভূতি যা চেপে রাখা যায়না। তা কোনও না কোনওভাবে প্রকাশিত হয়েই পড়ে।
মানুষ যদিও বা কিছুটা তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তো অন্য প্রাণিদের পক্ষে তা সম্ভব হয়না। তারা চেষ্টাও করেনা আনন্দকে চেপে রাখার। আনন্দ হলে শরীর মন যা চায় তারা তাই করতে থাকে। যেমন একটি প্রাণি আনন্দ হলে ভুট্টার খই হয়ে যায়।
ছোটখাটো চেহারার এই প্রাণিটি মানুষের কাছে অতিপরিচিত তাদের ওপর পরীক্ষার জন্য। কিন্তু এরা আনন্দ হলে একটি কাজই করতে থাকে। তা হল লাফানো।
গিনিপিগ হল সেই প্রাণি যারা আনন্দ হলে লাফায়। কেমন লাফায়? ভুট্টার খই ভাজার সময় ভুট্টা দানা যেমন গরমে ছিটকে ছিটকে লাফিয়ে সাদা হালকা ফুলের মত চেহারা নেয়, ঠিক তেমনি গিনিপিগের আনন্দ হলেও তারা লাফায়।
আর সেই লাফানো দেখে মনে হয় যেন ভুট্টার খই ভাজা হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি এভাবে লম্ফঝম্ফ দেখতে পাওয়া যায় শিশু গিনিপিগদের মধ্যে। যাদের পপকর্ন বলেও ডাকা হয়।
গিনিপিগদের এই আনন্দের বহিঃপ্রকাশ বাকি সব প্রাণির চেয়ে আলাদা। তাই গিনিপিগদের আনন্দ একটা দেখার মত বিষয়। তারা যখন ওভাবে ভুট্টার খই ফোটার মত লাফাতে থাকে তখন বুঝতে হবে গিনিপিগের কোনও কারণে আনন্দ আর ধরছে না।