Mythology

গুরু পূর্ণিমার দিনই জন্মগ্রহণ করেন এই মহাত্মা

পূর্ব্ব–কল্পে তিনি দাসীপুত্র ছিলেন এবং চাতুর্ম্মাস্য ব্রতাবলম্বী যোগীগণের সেবা করতেন। গুরু পূর্ণিমার দিনই জন্মগ্রহণ করেন এই মহাত্মা।

আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথিতে বিশালবুদ্ধি ব্যাসদেবের জন্ম হয়েছিল বলে এই পূর্ণিমাকে ব্যাস পূর্ণিমাও বলা হয়ে থাকে। এই তিথিতে জন্ম হওয়ার জন্য কিন্তু ব্যাস পূর্ণিমা নাম হয়নি।

কারণ ব্যাসদেবের জন্ম হয়েছে দ্বাপরের শেষে। তার পূর্বে কত যুগ, মহাযুগ কল্প চলে গিয়েছে। সেই সময়ও তো শিষ্যরা পুজো করতেন গুরু পূর্ণিমাতে।


দেবর্ষি নারদ ব্যাসদেবকে বলেছেন, পূর্ব্ব – কল্পে তিনি দাসীপুত্র ছিলেন এবং চাতুর্ম্মাস্য ব্রতাবলম্বী যোগীগণের সেবা করতেন। এ থেকে সহজে বোঝা যায়, চাতুর্ম্মাস্য ব্রত গ্রহণ করতে হয় আষাঢ়ী পূর্ণিমা বা গুরু পূর্ণিমায়, সেই উপলক্ষে তখনকার শিষ্যরা গুরুপুজো করতেন গুরু পূর্ণিমায়।

অতএব এ থেকে এরকম ভাববার সঙ্গত কোনও কারণ নেই যে, আষাঢ়ী পূর্ণিমায় ব্যাসদেবের জন্ম এবং তিনি সকলের গুরু বলে আষাঢ়ী পূর্ণিমাকে বলা হয় গুরু পূর্ণিমা।


যেমন আদি গুরুর আষাঢ়ী পূর্ণিমায় আবির্ভাব হেতু গুরু পূর্ণিমা, ব্যাসদেবের জন্মের কারণে ব্যাস পূর্ণিমা, তেমনই মহাপ্রভু শ্রীগৌরাঙ্গের দোলপূর্ণিমায় জন্ম হওয়ায় ওই পূর্ণিমা সুখ্যাত গৌরাঙ্গ–পূর্ণিমা নামে।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button