গুরু পূর্ণিমাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার ভোরের আলো ফুটতেই শহরের বিভিন্ন কোণায় শুরু হয় ভক্তদের তোড়জোড়। সাজোসাজো রব। অনেক আধ্যাত্মিক সংঘের তরফে দিনটি সাড়ম্বরে পালিত হয়। ফুলে ফুলে সেজে ওঠে আশ্রম। সব শিষ্য মিলিতভাবে মেতে ওঠেন গুরুর পুজো অর্চনায়। চলে গুরুকে স্মরণ করে গান, মন্ত্রোচ্চারণ, প্রসাদ বিতরণ। এজন্য অনেক সংঘ তাদের নিজস্ব আশ্রমেই গুরু পূর্ণিমার আয়োজন করে। অনেক সময়ে দেখা যায় যেসব আশ্রম কলকাতার বাইরে সেই গুরুর শিষ্যরা কলকাতাতেই কোনও বাড়ি ভাড়া করে সেখানে গুরু পূর্ণিমায় একত্র হন। পালন করেন গুরু পুজো।
গুরু পূর্ণিমাতে অনেক বাড়িতেও পুজোর রীতি আছে। পূর্ণিমা তিথি তো বটেই, সেই সঙ্গে গুরু পূর্ণিমার মত তিথিতে বড় করে পুজো হয় অনেক বাড়িতে। অনেকে আবার গুরুর মূর্তি বা ছবিকেই সাজিয়ে তোলেন ফুল, চন্দন, নতুন পোশাকে। একেবারে দেবতার মতই সব উপকরণ দিয়ে পুজো, আরতির মধ্যে দিয়ে অর্চনা হয় গুরুর। বঙ্গ জীবনে গুরু পূর্ণিমার মাহাত্ম্য আগেও ছিল। এখনও এই গতির জীবনেও তা অমলিন।