গুরুদেব হাত ছোঁয়াতেই গলল বরফ, অতি ঠান্ডাতেও আর জমে না এই হ্রদের জল
এমন এক উচ্চতায় হ্রদটি অবস্থিত যে সেখানে প্রবল ঠান্ডায় সব জমে যাওয়ার কথা। সবকিছুর সঙ্গে হ্রদটিও জমে যায়। তবে একটা ছোট্ট অংশে জল টলটল করে।
হিমালয়ে শীতের সময় সবই জমে বরফ হয়ে যায়। সেখানে ১৭ হাজার ১০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত একটা হ্রদ যে জমে কঠিন বরফে রূপান্তরিত হবে সেটাই স্বাভাবিক। এই হ্রদটিরও তাই হয়। জমাট বরফের চাদরে তা ঢাকা পড়ে যায়।
কিন্তু সকলকে অবাক করে হ্রদটির একটা কোণায় একটা ছোট্ট অংশের জল কখনও জমে না। সে যত ঠান্ডাই হোক না কেন! সেখানে জল সারা বছর টলটল করে।
হিমালয়ের ওই উচ্চতার নিচেও এমন অনেক জলভাগ রয়েছে যা ঠান্ডায় সম্পূর্ণ জমাট বেঁধে যায়। কিন্তু এ হ্রদের জলের ওই অংশটুকু বরফ হয়না!
কথিত আছে একসময় এখানে হাজির হয়েছিলেন বৌদ্ধ ধর্মগুরু গুরু পদ্মসম্ভব। অষ্টম শতাব্দীর সময় তিনি হাজির হন এখানে। সিকিমের এই হ্রদের আশপাশে তখন কিছু মানুষের বাস ছিল। তাঁরা ঠান্ডার একটা বিশাল সময় ধরে জলের অভাবে কষ্ট পেতেন।
গুরু পদ্মসম্ভব সেই কষ্ট লাঘবের জন্য হ্রদের একটি অংশে হাত ছোঁয়ান। আর জানান হ্রদের ওই অংশের জল যত ঠান্ডাই হোক না কেন কখনও বরফ হবেনা।
এতে স্থানীয়রা বেঁচে থাকার জন্য সারা বছর জল পাবেন। সেই থেকে গুরুডোঙ্গমর হ্রদের জলের ওই ছোট্ট অংশ অতি প্রবল ঠান্ডাতেও কখনও জমাট বাঁধে না।
সিকিমের কাঞ্চেনজিয়াও পর্বতসারির মধ্যেই ১৭ হাজার ১০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত গুরুডোঙ্গমর হ্রদ দেখতে এখন বহু মানুষ ছুটে আসেন। নভেম্বর মাস থেকে মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত এ হ্রদ বরফে জমে থাকে।
কেবল ওই ছোট্ট অংশে জল টলটল করে। এটাই এ হ্রদের অন্যতম আকর্ষণ। এছাড়া পর্যটকদের কাছে বাড়তি পাওনা হিমালয়ের অপার সৌন্দর্য।