মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সঈদকে গৃহবন্দি করল পাক সরকার। জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার প্রধান হাফিজ সঈদকে ৬ মাসের জন্য গৃহবন্দি করা হয়েছে। তাকে পাকিস্তানের লাহোরের চাউবুরজি এলাকায় জামিয়া আল কাদসিয়ার দফতরে রাখা হয়েছে। পরে তাকে ফয়জল শহরে তার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বন্দি করে রাখা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন প্রশ্ন হল এতদিন ধরে ভারত হাফিজ সঈদের বিরুদ্ধে গুচ্ছ গুচ্ছ প্রমাণ পাক সরকারের হাতে তুলে দেওয়া সত্ত্বেও তাকে পাক সরকার ছোঁয়ারও চেষ্টা করল না। বরং পাক সরকারের নাকের ডগায় বুক ফুলিয়ে ভারত বিরোধী প্রচার করে ঘুরে বেড়াচ্ছিল এই জঙ্গি নেতা। তাকেই কিনা আচমকা গৃহবন্দি করা হল?
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এর পিছনে ট্রাম্প ফ্যাক্টর কাজ করছে। কারণ জঙ্গি সংগঠন জামাত-উদ-দোয়ার বিরুদ্ধে পাক সরকার ব্যবস্থা না নিলে পাকিস্তানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই হুঁশিয়ারিকে একেবারেই হাল্কাভাবে নিতে চাইছে না পাকিস্তান। কারণ ট্রাম্প কারও তোয়াক্কা না করেই এমন সিদ্ধান্তকে কার্যকর করে দিতে পারেন। ফলে কিছুটা বাধ্য হয়েই হয়তো হাফিজকে গৃহবন্দির মত সিদ্ধান্ত তাদের গ্রহণ করতে হয়েছে। কারণ ২০১৪ সালেই জামাত-উদ-দোয়াকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে চিহ্নিত করে আমেরিকা। কিন্তু তার পরও জামাত প্রধান হাফিজের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পাকিস্তানের নওয়াজ শরিফ সরকার। ফলে তখন থেকেই আমেরিকা ও পাকিস্তানের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছিল। তবে ওবামা প্রশাসন একরকম ছিল। ট্রাম্প কিন্তু তুলনামূলকভাবে অনেকটাই বেপরোয়া। তাছাড়া ক্ষমতায় এসেই বিশ্ব জুড়ে ইসলামিক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন তিনি। এই অবস্থায় হাফিজকে গৃহবন্দি করা প্রমাণ করে দিল ট্রাম্প ভীতি কি ভীষণভাবে পেয়ে বসেছে পাকিস্তান সরকারকে।