আত্মাদের পৃথিবীতে আসার দিনেই আকাশে উঠবে নীল চাঁদ
আত্মারা এদিন নেমে আসবে পৃথিবীতে। গা ছমছমে সেই রাতেই আকাশে উঠবে নীল চাঁদ। রাত গভীর হবে। চাঁদের আলোয় ভৌতিক রাত যেন হয়ে উঠবে আরও অস্বস্তিকর।
ভৌতিক পরিবেশের সঙ্গে চাঁদের আলোর একটা সম্পর্ক রয়েছে বহুদিন। সেই ভৌতিক দিনেই আকাশে উঠবে নীল চাঁদ। এমনভাবে হ্যালোউইন-এর দিনেই রাতের আকাশে নীল চাঁদের দেখা মেলা বড়ই বিরল। সেই ১৯৪৪ সালে শেষবার এমনটা হয়েছিল। তারপর এই ২০২০ সালে এল সেই দিন।
ভৌতিক রাতে আকাশে উঠবে নীল চাঁদ। যে যোগ ফের দেখা যাবে ২০৩৯ সালে। একেই ৩১ অক্টোবর বিশ্বের বিভিন্ন কোণায় পালিত হচ্ছে ভৌতিক রাত হ্যালোউইন। সেই ভৌতিক আবহকে যেন আরও ভয়ংকর করে তুলবে এই নীল চাঁদ।
মৃত আত্মাকে খুশি করার দিন হ্যালোউইনের রাতেই নীল চাঁদ উঠছে রাতের আকাশে। নীল চাঁদ অবশ্য নীল রংয়ের চাঁদ নয়। যে মাসে ২টি পূর্ণিমা পড়ে সে মাসের দ্বিতীয় পূর্ণিমাকে বলা হয় ব্লু মুন বা নীল চাঁদের রাত।
এটা মূলত পাশ্চাত্য ধারণা। হ্যালোউইনও পাশ্চাত্য ধারণা ও উৎসব। তাই হ্যালোউইন ও নীল চাঁদের এই যুগলবন্দীর রাত যেন এবার পাশ্চাত্য দুনিয়ায় আরও বেশি গা ছমছমে।
প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে হ্যালোউইনের দিন মৃত্যুর দেবতা সমস্ত আত্মাদের মুক্তি দেন। সেইসব আত্মারা পৃথিবীতে আসে। এরা কিন্তু ভূতের রাজার মতো বর-টর দেয় না। অনেক বেশি প্রতিহিংসাপরায়ণ তারা।
জীবিতকালে তাদের সঙ্গে যারা খারাপ ব্যবহার করে, তাদের উপর প্রতিশোধ নেয় সেইসব অতৃপ্তআত্মা। এই আত্মাদের কোপের হাত থেকে বাঁচতেই তাদের খুশি করতে হয় উপাসনা। একেই বলে হ্যালোউইন।
তাছাড়া, এই দিনটির একটি অর্থনৈতিক তাৎপর্যও আছে। এইসময় থেকে গরমকাল বিদায় নেয়। বিদায় নেয় বৃষ্টি। প্রকৃতি হয়ে ওঠে রুক্ষ, শুকনো।
এইসময় পরজগতের অশুভ আত্মারা খুব সক্রিয় হয়ে ওঠে। তারা চেষ্টা করে ফসলের ক্ষতি করতে। যা খুবই অশুভ বলে মনে করা হয়। তাই প্রকৃতির ও মানুষের মঙ্গল কামনার জন্য এই উৎসব পালন করা হয়ে থাকে।
কুমড়োর পেট চেঁচে ফেলে কুমড়োকে ভয়ংকর মুখের মত করে কেটে তার মধ্যে আলো জ্বেলে অনেকেই বাড়ির দরজায় ঝুলিয়ে দেন। বাড়ি আলোয় ভরে ফেলেন। বিকট চেহারার মুখোশ পরে অন্যকে ভয় দেখান।
এই দিনে কেউ কেউ বাদুড় বা কালো বিড়ালের সাজ সাজেন। এ রাত এক ভৌতিক রাত হিসাবে পালিত হয়। এদিন ভৌতিক গল্প বলা, ভূতের সিনেমা দেখা, ভূতের ঘর বানানো ইত্যাদি প্রথাগুলিও পাশ্চাত্য দুনিয়ায় বেশ জনপ্রিয়।