ভারতে কবে থেকে মিলবে টিকা, ইঙ্গিত দিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভারতে কবে পাওয়া যাবে করোনার প্রতিষেধক টিকা। এ প্রশ্ন সকলের। তারই উত্তর দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন।
নয়াদিল্লি : ভারতে প্রতিদিন লাফিয়ে বেড়ে যাচ্ছে সংক্রমিতের সংখ্যা। সুস্থও হচ্ছেন অনেকে। কিন্তু তার চেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। আর সেই সংখ্যার ক্রমশ বৃদ্ধি দেশের মানুষকে ক্রমশ অধৈর্য করে তুলছে। সকলের এখন একটাই প্রশ্ন কবে মিলবে করোনার প্রতিষেধক টিকা? মানুষ আরও ধাক্কা খেয়েছেন কদিন আগে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা-র যৌথ উদ্যোগে তৈরি করোনা প্রতিষেধক টিকা কোভিশিল্ড-এর তৃতীয় ট্রায়াল চলাকালীন এক টিকা স্বেচ্ছাসেবকের অসুস্থ হয়ে পড়ায়। সব মিলিয়ে এ বছরের শেষেই কী টিকা মিলবে, এ প্রশ্ন সকলের।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতি রবিবার কিছু প্রশ্নের উত্তর দেন। গত রবিবার তিনি এই করোনা প্রতিষেধক সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সকলকে আশ্বস্ত করে জানান ২০২১ সালের শুরুতেই হয়তো করোনা প্রতিষেধক টিকা সাধারণ মানুষের শরীরে প্রয়োগের জন্য তৈরি হয়ে যাবে। ২০২১ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকের মধ্যেই এটা তৈরি হয়ে যাবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন তিনি।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, ভারতের টিকা বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী বিশেষ কমিটি টিকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সব দিক বিবেচনা করে যখনই ছাড়পত্র দেবে, তখনই দ্রুত তা দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হবে। যে তালিকায় প্রথমেই সুযোগ পাবেন বয়স্ক ও ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কাররা। তাঁদের আর্থিক ক্ষমতা কতটা তা না দেখেই সকলকে টিকাকরণ করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি এও জানান কত কম সময়ের মধ্যে দেশের অধিকাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া যায় তার রূপরেখাও তৈরি হচ্ছে।
হর্ষ বর্ধন আরও জানান টিকার কার্যকারিতা ও সুরক্ষার দিকটি যেমন নজরে রাখা হবে, তেমনই সেটির দাম, কত সহজে তা পাওয়া যাবে এমন বিষয়গুলি নজরে রাখা হচ্ছে। তিনি বলেন, যদি মানুষের এতটুকুও টিকা নিয়ে সন্দেহ থাকে তাহলে সেই সন্দেহ দূর করতে তিনি নিজেই প্রথমে টিকা গ্রহণ করতে প্রস্তুত। প্রসঙ্গত লালকেল্লায় ১৫ অগাস্টের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন টিকা হাতে এলে তা সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার রূপরেখা তৈরি করে ফেলেছে সরকার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা