প্রথম ধাপে কতজন ভারতবাসীকে টিকা দেওয়া হবে জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভারতে প্রথম ধাপে কতজন ভারতবাসীকে করোনা প্রতিষেধক টিকা প্রদান করা হবে? কাদের প্রাধান্য দেওয়া হবে? সবই জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন।
নয়াদিল্লি : ভারতে করোনা প্রতিষেধক টিকা প্রদান নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছিল আগেই। প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লা থেকেই জানিয়েছিলেন ভারতে টিকা প্রদানের রূপরেখা তৈরি করা প্রায় হয়ে গেছে।
রবিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন তাঁর সোশ্যাল সাইটে ‘সানডে সমবাদ’ নামে সাপ্তাহিক বার্তায় স্পষ্ট করে দিলেন কতজনকে কীভাবে বেছে নিয়ে ভারতে টিকাকরণ শুরু হবে। যা দেশবাসীকে এই করোনা আবহেও আশার আলো যোগাল।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন সরকার আগামী ২০২১ সালের জুলাই মাসের মধ্যে ২০ থেকে ২৫ কোটি দেশবাসীকে টিকা দিতে চেষ্টা করছে। এটাই তাঁদের টার্গেট।
অর্থাৎ দেশের মোট জনসংখ্যার ১০০ কোটির ওপর মানুষ তখনও টিকাকরণ থেকে দূরেই থাকবেন। তাহলে কারা পাবেন প্রথম ধাপে এই সুযোগ?
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁরা প্রথমেই ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার ও আন্ডারলাইং হেলথ কন্ডিশন অর্থাৎ অন্য শারীরিক অসুস্থতা আছে এমন মানুষজনকে টিকা দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
কোন রাজ্যে কীভাবে দেওয়া হবে? স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন প্রতিটি রাজ্যকেই তালিকা তৈরি করতে বলা হচ্ছে। রাজ্যগুলির সঙ্গে যাবতীয় বিষয়ে রূপরেখা তৈরি অক্টোবরের মধ্যেই শেষ করা হবে।
টিকাকরণেও স্বচ্ছতা রাখা হবে বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের মধ্যে রয়েছে সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকেরা, নার্স, প্যারামেডিক, সাফাইকর্মী, আশাকর্মী, সার্ভেলেন্স অফিসার-এর মত কর্মীরা।
দেশের বাকি মানুষের কবে টিকাকরণ হবে তা অবশ্য পরিস্কার করেননি স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তবে টিকাকরণ নিয়ে যে তোড়জোড় শুরু হয়ে গেল তা দেশবাসীকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী অবশ্য আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে আগামী বছরের গোড়াতেই দেশে টিকাকরণ শুরু হয়ে যেতে পারে। এদিন তাঁর বক্তব্যে টিকা আদৌ আসবে, নাকি আসবে না, এলেও সত্যিই কবে আসবে, এমন ধরনের প্রশ্নগুলি থেকে অনেকটা মুক্তি মিলল।
দেশে করোনায় মৃত্যু ইতিমধ্যেই ১ লক্ষ পার করে গেছে। বিশ্বে পার করেছে ১০ লক্ষ। হু আশঙ্কা প্রকাশ করেছে কার্যকরী টিকা পেতে পেতে বিশ্বে ২০ লক্ষ মানুষের প্রাণ কাড়তে পারে করোনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা