করোনা রুখতে নাকের টিকা বানাচ্ছে ভারতীয় সংস্থা
করোনা রুখতে এবার নাকে দেওয়ার টিকা তৈরি করছে ভারতীয় সংস্থা। একথা জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তিও করেছে তারা।
নয়াদিল্লি : করোনা প্রতিষেধক টিকা তৈরির চেষ্টা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে। বেশ কয়েকটি টিকা প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এই বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুতেই একাধিক টিকা এসে যেতে পারে।
তারপরও এক এক করে টিকা বাজারে আসতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ অনেকগুলি টিকাই দারুণ ফল করে ট্রায়ালে সাফল্য পাচ্ছে। যে দৌড়ে রয়েছে ভারতের কোভ্যাক্সিন টিকাও। যা তৈরি করছে হায়দরাবাদের ওষুধ ও টিকা গবেষণা ও প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারত বায়োটেক। কোভ্যাক্সিনের পাশাপাশি ভারত বায়োটেক এবার একটি নাকে দেওয়ার করোনা টিকাও তৈরি করা শুরু করেছে।
নাক দিয়ে এই টিকা প্রদান করা হবে। তবে তারা এখনও এর ট্রায়াল শুরু করেনি। ট্রায়াল করতে ভারত বায়োটেক ইতিমধ্যেই ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় এবং সেন্ট লুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি সম্পূর্ণ করেছে।
চুক্তি অনুযায়ী প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালে ওই মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলি সাহায্য করবে। সেখানেই হবে ট্রায়াল। তারপর ট্রায়ালের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপ হবে ভারতে। এজন্য ভারতে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্রের চেষ্টা শুরু করেছে ভারত বায়োটেক।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন ভারত বায়োটেক তো একটি নাকের করোনা প্রতিষেধক টিকা বানাচ্ছেই তার পাশাপাশি আরও একটি নাকের টিকা তৈরির জন্য হাত মিলিয়েছে ভারতে সেরাম ইন্সটিটিউট ও আমেরিকার কোডাজেনিস্ক। তারাও নাকের করোনা প্রতিষেধক টিকা তৈরি করেছে।
মানবদেহে ট্রায়াল শুরুর আগে এটি ইতিমধ্যেই অন্য জীবের দেহে প্রয়োগ করা হয়েছে। আর তাতে সাফল্যও এসেছে। এখন এটি মানবদেহে ট্রায়ালের আগের পর্যায়ে রয়েছে। সিডিএক্স-০০৫ নামে এই নাকের টিকা একবার মাত্র দেওয়ার দরকার পড়বে, যদি এটি সাফল্যের মুখ দেখে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু বিশ্বজুড়ে চলা করোনা প্রতিষেধকের তালিকা প্রস্তুত করেছে। যে তালিকায় এখনও পর্যন্ত ১৬৯টি করোনা প্রতিষেধক টিকা তৈরির চেষ্টা চলছে বলে উল্লেখ রয়েছে। সেগুলি হু-এর কাছে নথিভুক্ত হয়েছে।
প্রসঙ্গত এসব ট্রায়ালের অধিকাংশই মৃত ভাইরাস, ভাইরাসের জেনেটিক অংশ বা ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনকে পরীক্ষা করতে কাজে লাগাচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা