জেগে উঠেছে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের কিলুওয়েয়া আগ্নেয়গিরি। অগ্নুৎপাত শুরু হয়েছে একদিন আগে থেকেই। প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝে হাওয়াইয়ের একটি দ্বীপ বিগ আইল্যান্ড। সেখানেই এখন লাভার স্রোত বইছে। আকাশ ছেয়েছে ঘন ছাইয়ের কুণ্ডলীতে। বাতাসে উড়ছে গরম ছাই। আশপাশের বাসিন্দারা ত্রাহিত্রাহি রব ছেড়ে পালাচ্ছেন। প্রশাসনের তরফে তাঁদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
এদিকে লাভা স্রোতের সঙ্গে বাতাসে মিশেছে সালফার ডাই-অক্সাইড গ্যাস। যা নাকে গিয়ে বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। যেভাবে তা ছড়িয়ে পড়ছে তাতে কোনও বাসিন্দা চাইলেও তাঁকে কাছাকাছি থাকতে দেওয়া হচ্ছেনা। বাধ্যতামূলকভাবে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সকলকে। ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গোদের ওপর বিষ ফোড়ার মত শুক্রবার আবার ১ ঘণ্টার ব্যবধানে ২ বার কেঁপে উঠেছে হাওয়াই। প্রথম ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫.৩। সাধারণত আফটার শক প্রথমটির তীব্রতার চেয়ে খানিক কম হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে ১ ঘণ্টা পর দ্বিতীয়বার কম্পনের মাত্রা রেকর্ড হয় ৬.৯। যা খাতায় কলমে তীব্র কম্পন হিসাবেই পরিগণিত হয়ে থাকে। যদিও ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর মেলেনি।
এদিকে লাভা স্রোত ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে কিলুওয়েয়া আগ্নেয়গিরি সংলগ্ন জঙ্গলে। ফুটন্ত গলিত লাভায় পুড়ে খাক হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার গাছ, বন্য প্রাণ। আগ্রাসী লাভা স্রোত নিজের মত চারপাশ ছারখার করে গড়়িয়ে চলেছে। একাধারে কিলুওয়েয়া আগ্নেয়গিরি থেকে লাগাতার অগ্নুৎপাত, লাভা স্রোত, চারদিকে উড়তে থাকা গরম ছাই, সালফার ডাই-অক্সাইড গ্যাস ছড়িয়ে পড়া, সঙ্গে আবার ভূমিকম্প হাওয়াইয়ের আমজনতাকে রীতিমত আতঙ্কে ফেলে দিয়েছে। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে প্রশাসনও।