কুচকুচে কালো বালির সমুদ্রতট, এখানে লুকিয়ে অন্য রহস্য
সমুদ্রের ধারে বালি থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যখন সেই বালির রং কালো হয় তখন তা নজর কাড়ে। এমনই এক রহস্য ঘেরা সমুদ্রতটে মিশেছে নীল জলরাশি।
সমুদ্রতট চিরকালই মানুষের বড় পছন্দের জায়গা। যেখানে সমুদ্রের জলরাশি তাঁদের অনন্ত প্রকৃতির কথা বলে। যেখানে তাঁরা পরিবার বন্ধু নিয়ে এক নির্মল আনন্দের দিন কাটাতে পারেন। সমুদ্রের জলে স্নান করতে পারেন। সোনালি বালির ওপর স্নান করতে পারেন। সেই সঙ্গে অলস অবসরে জিভে জল আনা উদরপূর্তি তো আছেই।
সমুদ্রতট মানেই সোনালি বা হলুদ বালির সুদূর বিস্তৃত এক ক্যানভাস। যা সারাক্ষণ খেলা করে নীল সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে। তবে এমনও একটি সমুদ্রতট রয়েছে যেখানে বালি হলুদ বা সোনালি নয়, কালো। কুচকুচে কালো বালি সেখানে মিশেছে নীল জলের সঙ্গে।
কালো শুনতে লাগলেও এ বালির টানে সারাবছর এখানে পর্যটকের ভিড় লেগে থাকে। কালো বালির ওপর অবসর কাটাতে বিপুল অর্থ ব্যয় করে মানুষ হাজির হন এখানে।
তবে এ সমুদ্রতট মোটেও স্নানের উপযুক্ত নয়। কারণ এখানে সমুদ্রের ঢেউ আর বালি যেখানে মেশে সেখান থেকে সমুদ্রের দিকে গেলে আর বালি নেই। আছে কালো শক্ত পাথুরে জমি। যার ওপর রয়েছে সমুদ্রের জল।
হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের বিখ্যাত পর্যটনস্থল ওনুলি বিচ। হাওয়াইয়ান ভাষায় ওনুলি মানে কালো বালি। ওনুলি সারাবিশ্বের কাছে পরিচিত তার কালো বালির সমুদ্রতটের জন্য।
এই কালো বালি আসলে আগ্নেয়গিরি দান। আর সমুদ্রের জল যেখান থেকে রয়েছে যেখানে বালি না থেকে কালো পাথর থাকার কারণ অগ্নুৎপাতের ফলে সেখানে জমাট বাঁধা আগ্নেয়শিলা। তাই এখানে স্নান করা মুশকিল।
তবে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডুবুরিদের সঙ্গে সমুদ্রতটের গা ঘেঁষা কোরালের সম্ভার দেখতে গেলে চোখ জুড়িয়ে যায়। এছাড়া এখানকার প্রকৃতি অপরূপ। পাহাড়ঘেরা কালো বিচের তাই অন্যই আকর্ষণ।