ত্বক বাঁচাতে সমুদ্রে সান স্ক্রিন মেখে নামা নিষিদ্ধ হতে চলেছে ভবিষ্যতে? হতে পারে। তবে তাতে ভারতের সমুদ্র বিলাসী মানুষজনের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। কারণ, এমন কড়া বিধিনিষেধ এ দেশে নয়, আগামী দিনে হয়তো চালু হতে চলেছে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে।
প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে ভাসমান হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের প্রতিটি দ্বীপের নৈসর্গিক সৌন্দর্য অতুলনীয়। হাওয়াইয়ের স্বর্গীয় সমুদ্র তট ও অতল শান্ত নীল জলরাশির টানে সারাবছর বিদেশি পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে এখানে। রোজ হাজার হাজার মানুষ সূর্যের চড়া তাপ উপেক্ষা করে গা ভাসান শান্ত মহাসাগরের শীতল জলে। সান বার্ন আর ট্যান পড়া থেকে ত্বককে বাঁচাতে সান স্ক্রিন লোশন গায়ে মেখেই নোনা জলে গা ভেজান পর্যটকরা। কিন্তু নিঃসাড়ে সেই লোশন মানুষের ত্বক বেয়ে মিশে যায় প্রশান্ত মহাসাগরের জলে।
সান স্ক্রিনের ক্ষতিকারক বিষাক্ত রাসায়নিক স্রোতের টানে পৌঁছে যায় মহাসাগরের অতলে বেড়ে ওঠা হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের প্রবাল সাম্রাজ্যে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সান স্ক্রিনের রাসায়নিক প্রতি বছর একটু একটু করে ধ্বংস করছে প্রবালের সুখের সংসার।
সান স্ক্রিনে উপস্থিত ক্ষতিকারক রাসায়নিক অক্সিবেঞ্জোনের প্রভাবে পুনর্জীবন শক্তি হারাচ্ছে প্রবাল। এইভাবে চলতে থাকলে একদিন নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের গা ঘেঁষে জলের তলার রামধনুর সংসার। তাই প্রবাল দুনিয়াকে টিকিয়ে রাখতে সানস্ক্রিন ব্যবহার ও তা বিক্রি করা নিষিদ্ধ করতে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন জীববিজ্ঞানীরা।
সান স্ক্রিন ব্যবহারে রাশ না টানলে একদিন হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জকে প্রবালশূন্য হয়ে যেতে হবে বলে সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছেন তাঁরা। তবে সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি প্রতিরোধক সান স্ক্রিন বিক্রি বন্ধ হয়ে গেলে সমুদ্রে স্নান করা মানুষের চামড়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
তাছাড়া হাওয়াইয়ের পর্যটনের মূল আকর্ষণই তার পাগল করা সমুদ্রতট। যেখানে সারা বছরই বিদেশি পর্যটকের ভিড় লেগে থাকে। আর তাঁরা সান স্ক্রিন মেখেই সমুদ্রে নামতে বা সমুদ্র তটের সোনালি বালুকায় সময় কাটাতে অভ্যস্ত। এই সমস্ত দিক মাথায় রেখে এখনই তাড়াহুড়ো করে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না হাওয়াই প্রশাসন।