আকাশ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে পিঁপড়ের পাল, প্রমাদ গুনছে সরকার
গুনে তাদের শেষ করা যায়না। তারা এগিয়ে আসছে দল বেঁধে। আকাশ থেকে তারা বৃষ্টির মত ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। প্রমাদ গুনছে সরকার।
দেখতে ছোট হলেও যখন তারা একসঙ্গে কোথাও হানা দেয় তখন কার্যত রক্ষে নেই। ছোট্ট প্রাণিটির একার কোনও ক্ষমতা সেই অর্থে নেই। ১ ইঞ্চির ১৬ ভাগের এক ভাগ তাদের চেহারা।
হাল্কা কমলা রংয়ের এই পিঁপড়েরা যখন এককাট্টা হয়ে হানা দেওয়ার জন্য এগিয়ে আসে তখন সরকারও নড়েচড়ে বসে। সেটাই হয়েছে।
ফায়ার অ্যান্টরা শহরের দিকে পাড়ি দিয়েছে ইতিমধ্যেই। আগেভাগেই সেকথা জানিয়ে শহরবাসীকে সতর্ক করেছে সরকার। বলা হয়েছে যে কোনও জায়গায় আকাশ থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে লাফিয়ে পড়তে পারে তারা।
সে সমুদ্রসৈকতে শুয়ে থাকার সময়ও হতে পারে আবার রাতে ঘুমোনোর সময়ও হতে পারে, আবার রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময়ও হতে পারে। এসব পিঁপড়ে উড়তে পারেনা ঠিকই, তবে উঁচু জায়গায় ডেরা তৈরি করে।
সেখানে ঝাঁকে ঝাঁকে পিঁপড়ে একত্র হয়ে থাকে। আর মানুষ বা অন্য কোনও প্রাণিকে আক্রমণ করে। তাদের চেহারা ছোট হলেও তাদের কামড় প্রবল যন্ত্রণাদায়ক।
হাওয়াইয়ে ১৯৯৯ সালে শেষবার এমন হানার ঘটনা ঘটেছিল। এবার ফের এই ফায়ার অ্যান্টরা জঙ্গল ছেড়ে শহর, গ্রামের দিকে আগুয়ান হয়েছে।
ওয়াইলুয়া রিভার স্টেট পার্ক-এর জঙ্গলে এই ফায়ার অ্যান্টদের খোঁজ মিলেছিল। জঙ্গলেই থাকে তারা। এবার আচমকা লক্ষ লক্ষ পিঁপড়ের পাল এগিয়ে আসছে।
শহরে হানা দিলে এই পিঁপড়েরা মানুষের পাশাপাশি গৃহপালিত পশুদের প্রবল ক্ষতি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাদের কামড়ে গৃহপালিত পশুদের যন্ত্রণা তো হবেই, সেইসঙ্গে চোখও খারাপ হয়ে যেতে পারে। বিষাক্ত কামড়ের হাত থেকে মানুষেরও রেহাই নেই।
গ্রামেও ফসল থেকে গৃহপালিত প্রাণিদের ক্ষতি করতে পারে এই পিঁপড়ে। এরা ধীরে এগোয়। কিন্তু জনবসতি পর্যন্ত পৌঁছে গেলে বিপদ।
তাই হাওয়াই সরকার সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছে। এই বিপুল সংখ্যক ফায়ার অ্যান্টকে ঠেকাতে কি করা যায় তারও চিন্তাভাবনা চলছে।