আলু আপেল থেকে সাবধান, বিপদ কড়া নাড়ছে
কথায় বলে সাবধানের মার নেই। আলু, আপেল, কাজু নিশ্চয়ই খাবেন, তবে নজর রাখবেন তা যেন অসুস্থতার কারণ না হয়ে দাঁড়ায়।
দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় আলু বেশ জনপ্রিয়। আলু সেদ্ধ থেকে আলুর তরকারি বা আলুরদম। টক ঝালের ফুচকা থেকে তেলেভাজা। আলু প্রায় সবেতেই একটা বড় ভূমিকা নেয়। তবে আলু খাওয়ার আগে একটু সচেতনতা জরুরি।
যে আলুর রং মেটে হলুদ বা মাটির রঙের সেই আলুতে কোনও দোষ নেই। তবে সবুজ হয়ে যাওয়া আলু কিন্তু শরীরের জন্য একেবারেই নিরাপদ নয়। কারণ সবুজ হয়ে যাওয়া আলুতে থাকে ‘গ্লাইকোলক্যালয়েড’। যা একটি অত্যন্ত বিষাক্ত পদার্থ। এর মধ্যে খুব বেশি পরিমাণে টক্সিন থাকে। যার থেকে মাথা ধরা বা বমিবমি ভাব হতে পারে।
লাল টুকটুকে আপেল ফলের দুনিয়ায় বেশ আকর্ষণীয়। খাবার শেষ ভাগে অনেকেই একটা করে ফল খান। যার মধ্যে আপেল মাঝেসাঝেই থাকে। অনেক সময় মায়েরা তাঁদের একদম ছোট শিশুকেও আপেল সেদ্ধ করে খাওয়ান। এছাড়াও নিত্যদিনের পুজোর থালাতেও স্থান পায় আপেলের টুকরো।
আপেল থেকে সরাসরি কোনও বিষক্রিয়া হয়না। কিন্তু আপেলের বীজ মারাত্মক। কারণ আপেলের বীজে থাকে সায়ানাইড। যা একপ্রকারের বিষ। আপেলের বীজ যাতে পেটে চলে না যায় তা থেকে নিজে সতর্ক থাকুন আর বাচ্চাকেও লাঞ্চবক্সে যদি আপেল দেন তবে বীজ ছাড়িয়ে তবেই দিন।
মেওয়ার মধ্যে কাজু অন্যতম। বিশেষ করে বাঙালিরা পোলাও বা চাটনিতে কাজু দিয়ে থাকেন। অনেকে শুকনো কাজুও খেয়ে থাকেন। এছাড়াও কেক, পায়েস বা বিস্কুটের মধ্যেও কাজুর দেখা মেলে। অর্থাৎ কাজু আমরা খাবারের মধ্যে দিয়ে রান্না করেই খাই।
কাঁচা কাজু কিন্তু আমরা কেউ খাইনা। অনেকে ভাবেন যে বাজার থেকে আনা কাজু হল কাঁচা। আদপে তা কিন্তু নয়। কারণ কাঁচা কাজুতে থাকে উরুসিয়ল নামে একধরনের রাসায়নিক। বিশেষ করে যাঁদের অ্যালার্জির প্রবণতা আছে, তাঁদের জন্য কাঁচা কাজু কার্যত প্রাণঘাতী!
সমাধান একটাই যে বাজার থেকে আনা কাজু যদি শুকনো কড়াইয়ে একটু নেড়ে রেখে দেন তবে তা স্বাদে যেমন আরও মজাদার হবে, তেমনই এর মধ্যে যে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থটি আছে তাও নষ্ট হয়ে যাবে।
তবে দোকানে আসার আগে কাঁচা কাজুর মধ্যে থাকা এই উরুসিয়ল নামক রাসায়নিকটিকে বের করে দিয়ে বাজারজাত করা হয় প্রায় সবক্ষেত্রেই। তবুও কথায় বলে সাবধানের মার নেই! আলু, আপেল, কাজু নিশ্চয়ই খাবেন। তবে নজর রাখবেন তা যেন অসুস্থতার কারণ না হয়ে দাঁড়ায়।