দ্রুত ওজন কমাতে খান এক ম্যাজিকাল দানাশস্য
মোটা হলে চলবে না। আবার স্বাস্থ্যবান থাকাটাও জরুরি। এসবের মধ্যেই বেড়ে চলে স্থূলতা। এর থেকে রেহাই দিতে রয়েছে এক ম্যাজিকাল দানাশস্য।
সকালবেলা পাতে চাই গরম ফুলকো লুচি। সঙ্গে মুখরোচক কিছু ভাজা বা তরকারি হলে তো কথাই নেই। একেবারে জমে ক্ষীর প্রাতরাশের ভোজন।
দুপুরেও তাই। গরম গরম ভাতের সঙ্গে বাহারি পদ জুটে গেলে সোনায় সোহাগা। এরই সাথে রসনা বিলাসের জন্য রেস্তোরাঁ বা ফুড স্টলগুলোর হাতছানি তো আছেই।
এত সবকিছুর মধ্যেই বায়না, মোটা হলে চলবে না। আবার স্বাস্থ্যবান থাকাটাও জরুরি। এই সব ভাবতে ভাবতেই ওজন মেশিনের কাঁটাটা ধীরে ধীরে ঢলে পড়ে ডানদিকে। পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলে স্থূলতার মাত্রা।
কি করে রেহাই মিলতে পারে এই দুষ্ট মেদের যন্ত্রণা থেকে? তখন হাল খুঁজতে বসে মাথার চুল ছেঁড়ার মত অবস্থা হয় অনেকেরই। তাঁদের জন্যই সোনামুখ করে বসে আছে এক ম্যাজিকাল দানাশস্য।
নাম তার ‘ওটস’। বাংলায় যাকে বলে জই। কিছু বছর আগে অবধি যাকে ধান বা গমের ভুষি ভেবে হ্যাঁটা করতেন লোকজন। সেই উপেক্ষিত শস্যই এখন পুষ্টিবিদদের তালিকায় উঠে এসেছে ১ নম্বরে।
প্রোটিন ও ফাইবারে সমৃদ্ধ ওটস অন্য যেকোনও খাদ্যশস্যের তুলনায় দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। ওটমিলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। যা শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি উপকারি কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
ওটমিলে রয়েছে উচ্চ মাত্রার শর্করা। তাই সকাল বা দুপুর বা বিকেলের খাবার হিসেবে এটি শরীরে শক্তি যোগাতে সহায়ক। এতে অধিক পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে ধীর গতিতে হজম হয়, রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণকে সীমিত রাখে।
ওটমিলের ফাইবার হজম শক্তি বৃদ্ধি করে মলের পরিমাণ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এটি মস্তিষ্কে সেরোটোনিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে।
সেরোটোনিন মানব অন্ত্রে তৈরি হওয়া একটি রাসায়নিক যা ক্ষুধা, ঘুম ও মেজাজ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। মোদ্দাকথা ওটস চিন্তা কমাতে সাহায্য করে।
তাছাড়া, ওটসে থাকে ম্যাগনেসিয়াম, যা ভালো ঘুমের জন্য উপকারি। তাই, এটি মনকে শান্ত ও প্রফুল্ল রাখে। এছাড়াও ওটসের গুণের তালিকা নেহাত ছোট নয়।
সবদিক থেকে ওটস এতটাই উপকারি যে এখন অনেকেই ভাতের বদলে মধ্যাহ্নভোজন পর্যন্ত ওটস দিয়ে সারছেন। শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখতে সুবন্ধু ওটস তাই এখন বাঙালির পাতে নতুন রসনাবিলাস।