রোগপ্রতিরোধ থেকে সুস্থ ত্বক, মেদ কমানো, পেয়ারার গুণের শেষ নেই
পেয়ারার কয়েকটা টুকরো ম্যাজিক ঘটাতে পারে। নামীদামী ফলের তুলনায় এখন পেয়ারার দাম নেহাতই নগণ্য। বিশ্বে ১০০টিরও বেশি পেয়ারার প্রজাতি দেখা যায়।
পেয়ারা বছরের অন্য সময়েও হয়। কিন্তু বর্ষায় পেয়ারার ফলন হয় সবচেয়ে বেশি। ফলে বাজারে যোগান থাকে যথেষ্ট। দামও থাকে সাধারণ মানুষের হাতের মুঠোর।
নামীদামী ফলের তুলনায় এখন পেয়ারার দাম নেহাতই নগণ্য। ৩-৪ টাকাতেও দারুণ স্বাদের পেয়ারা পাওয়া যাচ্ছে দেদার। দামে সামান্য এই ফলের উপকারিতা কিন্তু অসামান্য।
ভারতে যে পেয়ারা পাওয়া যায় তার মধ্যেটা সাদা বা লাল হয়। আবার মেক্সিকো, মধ্য আমেরিকা, দক্ষিণপূর্ব এশিয়া প্রভৃতি স্থানে ১০০টিরও বেশি পেয়ারার প্রজাতি দেখা যায়।
পেয়ারায় থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম সহ নানা খাদ্য গুণ। পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডান্ট ও পলিফেনল আছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা নেয়।
এছাড়া পেয়ারায় আছে অতিমাত্রায় ভিটামিন সি ও আয়রন। এগুলি শরীরে ঠান্ডা জমতে দেয় না। বর্ষার দিনে সর্দি কাশির উপদ্রব থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে।
পেয়ারাতে আছে ভিটামিন বি৩ ও ভিটামিন বি৬ যা মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনের জন্য উপকারি। এমনকি পেয়ারা স্মৃতিশক্তিও বৃদ্ধি করে।
পেয়ারাতে আছে ভিটামিন সি ও বি যা শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে। ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক ক্রিম ও টোনার জেল হিসাবে কাজ করে এই কদর না পাওয়া নেহাতই মামুলি ফলটি।
এছাড়া অনেক সময়ে মুখে রুচি না থাকলে পেয়ারার কয়েকটা টুকরো ম্যাজিক ঘটাতে পারে। দ্রুত রুচি আনতে পেয়ারার জুড়ি মেলা ভার। তবে গুণাগুণের পাশাপাশি বিট নুন সহকারে পেয়ারার এক একটা টুকরো জিভে পড়া মানেই তো মন ভাল হওয়া। তাই না!