কোন রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী টমাটো, এর সঠিক ব্যবহার
টমেটোর গুণের তালিকা শুরু করলে শেষ করা মুশকিল। এতে রয়েছে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা। বিভিন্ন রঙের বিভিন্ন স্বাদের টমেটো মেলে বাজারে।
সারা বছর সব ধরণের সবজি বাজারে পাওয়া মুশকিল। কিন্তু লাল টুকটুকে টমেটো বছরভর মেলে। আগে শীতকালে টমেটো পাওয়া গেলেও এখন চাহিদার কথা মাথায় রেখে সারা বছরই থাকে টমেটোর যোগান।
যেখানে যখন ভাল টমেটো চাষ হয় সেখান থেকেই টমেটো বাজারে পৌঁছে যায়। রান্না ঘরে সবজি হিসাবে ব্যবহার ছাড়াও সস, কেচাপ এসবের জন্য প্রচুর পরিমাণে টমেটো ব্যবহৃত হয়।
স্যালাডের উপকরণ টমেটো। এর জুস আমাদের জন্য উপকারি। রান্না না করেও ফলের মতো কেউ কেউ টমেটো খেয়ে থাকেন।
টমেটোর গুণের তালিকা শুরু করলে শেষ করা মুশকিল। এতে রয়েছে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা। বিভিন্ন রঙের বিভিন্ন স্বাদের টমেটো মেলে বাজারে।
এতে আছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, লৌহ, ফসফরাস, পটাসিয়াম, প্রোটিন সহ নানা দরকারি উপাদান। যে কোনও বয়সের মানুষের জন্য টমেটো উপকারি। নিয়মিত টমেটো খেলে ত্বক ভাল থাকে। টমেটোর রস রোদে পোড়া চামড়ায় মাখলে পোড়া ভাব উধাও হয়ে যায়।
টমেটো হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। লাল টমেটো ক্যান্সার প্রতিরোধক। নার্ভকে শান্ত রাখতে, ভাল ঘুম হতে সাহায্য করে টমেটো।
ভারি খাবার খাওয়ার পর টমেটো জুস খেলে তা হজমে সহায়তা করে। টমেটো কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও উপকারি। তবে টমেটোর ভিতরের বীজ ফেলে খেতে বলছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।
তবে টমেটোর শাঁসের জুড়ি নেই। যেমন খেতে ভাল, তেমনই তার গুণ। টমেটোয় প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকায় মহিলাদের জন্যও প্রত্যেকদিনের ডায়েটে টমেটো দারুণ উপকারি। তবে টমেটো সহ্য না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাবেননা।