খেতে তেতো, গুণে অদ্বিতীয়, কোন কোন রোগ আরোগ্য করে এই মহৌষধ
বছরভর করলা পাওয়া যায়। দামও নাগালের মধ্যে। সাধ্যের মধ্যে করলার গুণ কিন্তু অসামান্য। করলা ভাজা বা করলার তরকারি দৈনন্দিন খাওয়ার হাজারো উপকারিতা।
প্রথম পাতে তেতো খাওয়ার চল বাঙালির নতুন নয়। এই তেতোর মধ্যে উচ্ছে বা করলারই দাপট সবচেয়ে বেশি। শীতকাল হলে অনেক সময়ে নিম পাতা সেই জায়গা নেয়। তবে বাঙালির প্রথম পাতের তেতো উচ্ছে বা করলাই বাঁচিয়ে রেখেছে। করলার কথাই ধরা যাক।
করলা ভাজা বা করলার তরকারি দৈনন্দিন খাওয়ার হাজারো উপকারিতা। এখন আবার স্বাস্থ্য সচেতন বাঙালি করলার জুসও খাচ্ছে। বাজারে গেলে সারা বছরই করলা পাওয়া যায়। দামও কার্যত নাগালের মধ্যে। সাধ্যের মধ্যে করলার গুণ কিন্তু অসামান্য।
করলায় আছে শর্করা, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ক্যারোটিন, ভিটামিন। এছাড়া অন্য কিছু খনিজ রয়েছে করলায়। বর্তমানে ডায়াবেটিক অনেকেই। তাঁদের জন্য করলা মহৌষধ। হাঁপানি থাকলেও করলা খাওয়া উপকারি। করলা রক্তকে পরিস্রুত করে। দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন করলা খেলে সর্দি, কাশি সহ অন্যান্য ছোটখাটো শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। করলা ভাইরাস প্রতিরোধে সাহায্য করে।
উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও করলা খুবই উপকারি। দ্রুত বার্ধক্য ঠেকাতেও করলার জুড়ি মেলা ভার। ত্বক ভাল রাখতে করলা উপকারি। এছাড়া করলা খেলে চুল ভাল থাকে।