Health

গুণে ভরা মুলো, কীভাবে খাবেন, কখন খাবেন

মুলো দেখলেই নাক কুঁচকে যায় অনেকের। কিন্তু এই তরকারির অনেক পুষ্টিগুণ আছে। এই সবজিটি সস্তা ও সুলভ। ২ ধরনের মুলো দেখা যায়, লাল ও সাদা। পুষ্টিগুণের দিক থেকে ২টিই সমান। মুলোর চেয়ে মুলো শাকের গুণ বেশি হয়। কচি মুলোর পাতা শাক হিসেবে বড়ি দিয়ে ভেজে খাওয়া যায়। এছাড়াও অন্য অনেকভাবেই মুলো শাক রাঁধা যায়।

মুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ পাওয়া যায়। যদিও বসন্তে মুলো তেমন পাওয়া যায়না। এটা নেহাতই হেমন্ত ও শীতের ফসল। তবু আজকাল প্রায় সারা বছরই মুলো কমবেশি বাজারে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। অনেকে আবার মাঘ মাসে মুলো খান না। বাদবাকি কিন্তু চাইলে সারা বছরই মুলো মিলতে পারে বাজারে। তবে হেমন্ত বা শীতের মত অত সহজে মিলবে না।


শীতকালে কাঁচা মুলো খেলে কাজে উৎসাহ বাড়ে। ভাত, রুটি খাওয়ার সময় কাঁচা মুলো গ্রেটারে কুড়িয়ে নুন দিয়ে খেলে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয় ও খাদ্যে রুচি বাড়ে। কচি মুলোর স্যালাড খিদে বাড়াতে সাহায্য করে। যাঁরা জ্বরে ভুগছেন ও মুখে রুচি নেই, তাঁরা মুলো কুচি কুচি করে কেটে চিবিয়ে খেতে পারেন। জ্বর কমবে, মুখের রুচিও বাড়বে। পেটে ব্যথা ও গ্যাস অম্বলের সমস্যা যাঁদের আছে, তাঁরা মুলোর রস করে পাতিলেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে উপকৃত হবেন।

ত্বক পরিচর্যাতেও মুলো ব্যবহার করতে পারেন। কাঁচা মুলোকে পাতলা টুকরো করে ত্বকে লাগিয়ে রাখলে ব্রণ কমে। এছাড়া কাঁচা মুলো বাটা ফেস প্যাক এবং ক্লিনজার হিসাবেও দারুণ উপকারি। যেসব মায়েরা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান, তাঁরা নিয়মিত মুলো খেলে বুকের দুধ বাড়ে। অর্শ রোগীদের জন্য মুলো অত্যন্ত উপকারি। নিয়মিত মুলো খেলে অর্শ রোগে আরাম পাওয়া যায়। শুকনো মুলোর স্যুপ খাওয়ালে এবং শুকনো মুলো একটা কাপড়ের পুঁটলিতে বেঁধে সেঁক দিলেও অর্শের কষ্টের থেকে নিরাময় পাওয়া যায়।


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button