মাইক্রোওয়েভই ভরসা, অজান্তে বাসা বাঁধছে জটিল রোগ
বাড়িতে অতিথি এলে চটজলদি কোনও মুখরোচক রান্না বানানোর ক্ষেত্রে মাইক্রোওয়েভের জুড়ি মেলা ভার। এমনকি খাবার গরম করাও যায় খুব তাড়াতাড়ি।
ব্যস্ততা বেড়েছে মানুষের। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে জিনিসপত্রের দাম, রেস্তোরাঁর খরচ। শরীরে বাসা বাঁধছে নানা রোগ। তা বলে কি একটু ভালো-মন্দ খাবার চেখে দেখার উপায় নেই? এখন রসনা তৃপ্তির উপায় হিসাবে হাজির বিভিন্ন রকমের সুবিধাযুক্ত রান্নার সরঞ্জাম। তার একটি অবশ্যই মাইক্রোওয়েভ ওভেন।
বাড়িতে অতিথি এলে চটজলদি কোনও মুখরোচক রান্না বানানোর ক্ষেত্রে মাইক্রোওয়েভের জুড়ি মেলা ভার। এমনকি খাবার গরম করাও যায় খুব তাড়াতাড়ি। কিন্তু ঘনঘন মাইক্রোওয়েভ ব্যবহারে অজান্তেই বিপদের ঝুঁকি নিয়ে ফেলছেন না তো আমজনতা? দেখে নেওয়া যাক সেই দিকটা।
মাইক্রোওয়েভ ওভেনে খাবার ঢুকিয়ে দেওয়ার পর স্টার্ট বোতামটি টেপা মাত্র ওভেনের চেম্বারে তৈরি হয় তড়িৎচুম্বকীয় শক্তি। যা প্রতি মিনিটে ২৫০০ মেগাহার্টজ কম্পন যুক্ত তরঙ্গ তৈরি করছে। এই কম্পন কিন্তু প্রায় মোবাইল ফোনের কম্পনের সমান।
খাবারকে মুচমুচে বা সুস্বাদু করার পিছনে রয়েছে এই প্রচণ্ড তরঙ্গশক্তি। কিন্তু এই তরঙ্গশক্তি অতিরিক্ত মাত্রায় খাবারের সঙ্গে মিশে অনেকসময় প্রভাব ফেলছে মানবদেহের হজম ক্ষমতায়। যা ক্যান্সারের মতো মারণ রোগেরও কারণ হয়ে উঠছে।
মাইক্রোওয়েভে গরম করা খাবারকে কেউ যদি অনেকক্ষণ ধরে ফেলে রাখার পর খান, সেক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনাও থেকে যায়। গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে মাইক্রোওয়েভে তৈরি খাবার মানুষের ব্লাড সুগার লেভেলকে অনেক সময় বাড়িয়ে দিতে পারে।
এই বিষয়ে কথা হচ্ছিল কলকাতার বিশিষ্ট চিকিৎসক পার্থ গুহ মজুমদারের সঙ্গে। তিনিও মাইক্রোওয়েভের এই সমস্ত ক্ষতিকারক দিকগুলির সঙ্গে একমত। অতএব, মাইক্রোওয়েভে খাবার তৈরি করুন, কিন্তু তা যেন রোজকার অভ্যাসে পরিণত না হয়।