পুদিনা পাতা নিরাময় করে বেশকিছু জটিল রোগের, এর সঠিক ব্যবহার
পুদিনা নানাভাবে ব্যবহার হতে পারে। এই পাতা দেখতে ছোট কিন্তু গুণ অনেক। যে কোনও বাজারেই এই ছোট সবুজ পাতার বান্ডিল মিলবে অনায়াসে।
পুদিনা পাতা দুর্লভ বস্তু নয়। যে কোনও বাজারেই এই ছোট সবুজ পাতার বান্ডিল মিলবে অনায়াসে। দামও যে ধরা ছোঁয়ার বাইরে এমনও নয়। গরমকালে পুদিনার সরবত সবচেয়ে ভাল। শরীর ঠান্ডা রাখতে এর জুড়ি মেলা ভার।
পুদিনা নানাভাবে ব্যবহার হতে পারে। চাটনি থেকে চকোলেট, চা থেকে সরবত। সবেতেই পুদিনা বা মিন্টের ব্যবহার ব্যাপক পরিমাণে হয়ে থাকে।
পুদিনা পাতায় ভিটামিন এ প্রচুর পরিমাণে আছে। এই পাতা দেখতে ছোট কিন্তু গুণ অনেক। বিষাক্ত জন্তুর বিষ নষ্ট করার গুণ আছে পুদিনায়।
পুদিনা পাতা পুড়িয়ে যদি সেই ছাই দিয়ে দাঁত মাজা যায় তাহলে দাঁত শক্ত হয়। যাঁদের পায়ে গোদ আছে তাঁরা পুদিনা পাতা সেদ্ধ করে বেটে নিয়ে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে নিয়মিত খেলে উপকৃত হবেন।
আবার পুদিনা পাতা যদি মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায় তাহলে শরীরের জমে থাকা ক্লেদ ঘাম হয়ে বেরিয়ে যায়। ৪-৫টা পুদিনা পাতা কচলে নিয়ে শুকিয়ে রোগীকে খাওয়ালে রোগীর র্মূচ্ছা রোগ সারে।
সর্দি কাশিতেও পুদিনা প্রাকৃতিক পথ্য। চায়ের সঙ্গে পুদিনা খেলে ঠান্ডা লাগা কমে। গলার সংক্রমণ সেরে যায়। বাচ্চাদের মধু ও নুন মিশিয়ে পুদিনা পাতা বাটা ২ মাস খাওয়ালে কৃমি সারে।
পুদিনা হজম করায় তাড়াতাড়ি। খিদে বাড়াবার ক্ষমতা আছে খুব বেশি পরিমাণে। কাজেই খিদে না পেলে বা খাওয়ায় অরুচি হলে পুদিনা পাতার সরবত রোজ খেলে ধীরে ধীরে খিদে বাড়বে, অরুচিও দূর হবে। পুদিনা পাতা ও লেবুর সরবত খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে।