হাজারো উপকারে নিম পাতা
রাস্তাঘাটে হেলায় বড় হওয়া এই গাছের পাতার অপরিসীম ওষধিগুণ। রাষ্ট্রসংঘ নিমগাছকে একুশ শতকের বৃক্ষ বলে অভিহিত করেছে।
নিম পাতার হাজারো গুণ। বাংলার রাস্তায় ঘাটে হেলায় বড় হয়ে ওঠা এই গাছের পাতার গুণ শুনলে অবাক হতে হয়। নিমের অপরিসীম ওষধিগুণ।
একথা মাথায় রেখেই নিমগাছকে রাষ্ট্রসংঘ ‘ট্রি অফ দ্যা টোয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি’ বা একুশ শতকের বৃক্ষ বলে অভিহিত করেছে। এবার জানার চেষ্টা করা যাক নিম পাতার হাজারো গুণের মধ্যে কিছু গুণ। যা দৈনন্দিন জীবনে উপকারি।
নিম পাতা খেলে কৃমি নাশ হয়। নিম পাতা সকালে হাল্কা গরম জলে ফেলে চায়ের মত খেলে তা শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখে।
কয়েকটি গোলমরিচ ও ৩-৪টি নিমপাতা সকালে চিবিয়ে খেতে পারলে মধুমেহ রোগ থেকে উপকার পাওয়া যায়। অরুচিতে নিম পাতা উপকারি, নিমপাতা খেলে রুচি আসে। নিম পাতা নিয়মিত খেলে বসন্তের অসুখ হাম বা পক্স হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
চামড়ার সমস্যা থাকলে নিমপাতা ভেজানো জলে স্নান করলে উপকার পাওয়া যায়। নিমপাতা বেটে মুখে লাগালে মুখে ব্রণ হয়না।
নিম একটি প্রসাধনী সামগ্রি হিসাবেও ব্যবহার হয়, অনেক সংস্থা তাদের ক্রিমে নিম আছে বলে দাবি করে। সাবানে নিমের রস থাকলে তা চামড়ার জন্য বিশেষ উপকারি।
নিম ডাল দিয়ে দাঁত মাজার প্রবণতা শহুরে মানুষের মধ্যে নেই, কিন্তু গ্রামাঞ্চলে নিমডালের কদর খুব, দাঁত ভাল রাখতে নিম ডাল দিয়ে দাঁত মাজা খুব ভাল। তাক, আলমারি বা বইয়ের পাতার খাঁজে নিম পাতা রেখে দিলে পোকামাকড়ের উপদ্রব কমে।