ভারতে তীব্র গ্রীষ্ম পারে করোনাকে ঠান্ডা করতে, বলছেন বিজ্ঞানীরা
বিজ্ঞানে ডেটা বা তথ্য তালিকার একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। কোভিড-১৯ নতুন এসেছে। তার সম্বন্ধে আরও অনেক ডেটা দরকার একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর আগে।
ভারতে চলছে লকডাউন। এখন তো হটস্পট খুঁজে সেসব এলাকা সিল বা কঠোর লকডাউনের আওতায় আনা হচ্ছে। তাতেও এখনও করোনার প্রকোপ কমার নাম নিচ্ছে না। তবে এরমধ্যেই ফের একবার তীব্র গরমে করোনার ঠান্ডা হওয়ার তত্ত্ব উস্কে দিলেন বিশেষজ্ঞেরা।
আগেই দেশের প্রথমসারির মাইক্রোবায়োলজিস্টদের একাংশ দাবি করেছিলেন যে গরম যত বাড়বে তত করোনার প্রকোপ কমবে। কারণ চরম উষ্ণ আবহাওয়ায় করোনার তার শক্তি হারায়। এবার সেই তত্ত্বই ফের একবার সামনে আনলেন বিশেষজ্ঞেরা।
ভারতে যে পিচগলা চরম কষ্টকর গ্রীষ্মকাল আসতে চলেছে, সেই গ্রীষ্মই এখন করোনার প্রকোপ কমাতে একটা বড় চমক হয়ে সামনে আসতে পারে, এমন এক আশার কথা শুনিয়েছেন তাঁরা।
বিখ্যাত মাইক্রোবায়োলজিস্ট ওয়াই সিং থেকে শুরু করে প্রখ্যাত ভাইরোলজিস্ট অখিল বন্দ্যোপাধ্যায়, সকলেই সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, যত পারদ চড়চড় করে চড়বে। ততই দুর্বল হতে থাকবে করোনার সংক্রমণ ক্ষমতা। ফলে তার প্রকোপ কমতে থাকবে।
তাঁদের মতে এপ্রিলের শেষের দিকে পৌঁছে ভারতের একটা বড় অংশেই পারদ পৌঁছে যাবে ৩৯ থেকে ৪০ ডিগ্রিতে। আর তা টানা থাকবে। সেই আগুনে গরমে হাঁসফাঁস দশা হয় প্রতি বছর মানুষের। কিন্তু এবার সেটাই শাপে বর হতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এই আশার কথা শোনানোর পাশাপাশি অবশ্য অখিল বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এটা একটা সম্ভাবনার কথা। কিন্তু বিজ্ঞানে ডেটা বা তথ্য তালিকার একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। কোভিড-১৯ নতুন এসেছে। তার সম্বন্ধে আরও অনেক ডেটা দরকার একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর আগে।
সেইসঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, যতই গরম পরুক না কেন যদি কোনও করোনা সংক্রমিতের খুব কাছে কেউ এসে পড়েন, তাহলে কিন্তু সংক্রমণ সম্ভাবনা থেকেই যাবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা