এইচআইভি-র টিকা আবিষ্কার কঠিন, করোনার সহজ, কেন বোঝালেন অ্যান্থনি
এইচআইভি-র টিকা এতদিনে পাওয়া গেলনা, কিন্তু করোনার এত দ্রুত পাওয়া যাবে কী করে? উত্তর দিলেন অ্যান্থনি ফসি।
নিউ ইয়র্ক : করোনার টিকা এ বছরের শেষেই পাওয়া যাবে। এটা কোনও কল্পনা নয়, এটা বাস্তব। বাস্তবেই করোনার টিকা হয়তো এ বছরের শেষে পেয়ে যাবে গোটা বিশ্ব। অন্য জীব ও মানুষের ওপর ট্রায়ালের ফল সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট করেছে। এমনই দাবি করলেন মার্কিন মুলুকের অতিমারি বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফসি। তাঁর বক্তব্যে আরও স্পষ্ট যে চলতি বছরের শেষেই হয়তো করোনার টিকা পেয়ে যেতে চলেছে বিশ্ব। প্রসঙ্গত ইতিমধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করে দিয়েছেন যে বিশ্বকে প্রথম করোনা টিকা দিতে চলেছে আমেরিকাই।
এদিকে করোনার টিকা নিয়ে যখন ক্রমশ আশার আলো ঝলমলে হচ্ছে, পাল্টা একটা প্রশ্নও অনেকে তুলছেন। অনেকেই এই প্রশ্ন তুলছেন যে করোনার টিকা এত দ্রুত কীভাবে পাওয়া যেতে পারে, যেখানে এইচআইভি নিয়ে বছরের পর বছর ধরে টিকা বার করার চেষ্টা করেও কোনও ফল হয়নি। এর উত্তর খুব সরল ভাষায় বুঝিয়ে দিয়েছেন অতিমারি বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফসি।
অ্যান্থনি ফসি জানিয়েছেন, এইচআইভি এমন একটি রোগ যাকে প্রতিরোধ করার জন্য মানবশরীরের স্বাভাবিক রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কাজ করেনা। আর স্বাভাবিক রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কাজ না করলে সে রোগের টিকা আবিষ্কার করা অত্যন্ত কঠিন কাজ। অন্যদিকে করোনার ক্ষেত্রে আবার উল্টোটা। করোনা প্রতিরোধে মানবশরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা প্রবলভাবে কাজ করতে সক্ষম। আর মানবদেহে স্বাভাবিক রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা যখন একটা রোগের বিরুদ্ধে লড়তে পারে তখন তার টিকা আবিষ্কার অনেকটা সহজ হয়ে যায়। সেটাই করোনার ক্ষেত্রে হচ্ছে।
করোনার টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা বিশ্বজুড়েই চলছে। অক্সফোর্ড তাদের হিউম্যান ট্রায়ালের প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। অন্যদিকে মার্কিন মুলুকে মডার্না-র তৈরি করোনা টিকাও তার চূড়ান্ত পর্যায় রয়েছে। ভারতও তাদের একটি করোনা টিকা আবিষ্কারের লড়াই চালাচ্ছে। কোভ্যাক্সিন নামে ওই টিকার এখনও পর্যন্ত পরীক্ষা দারুণভাবে সফল হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা