চুড়ো দূর, দেশে করোনা ছড়ানো মালভূমির স্তরেও পৌঁছায়নি, বলছেন এইমসের ডিরেক্টর
ভারতে করোনা ছড়িয়ে পড়ছে হুহু করে। কিন্তু এইমসের ডিরেক্টর অন্য কথাই বলছেন। যা নতুন করে দুশ্চিন্তায় ফেলল দেশবাসীকে।
নয়াদিল্লি : দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়া দেখে অনেকেই মনে করছেন এটাই আপাতত ভারতে করোনা ছড়িয়ে পড়ার সর্বোচ্চ স্তর। এখন প্রতিদিন ৬০ হাজারের ওপর নতুন রোগী ধরা পড়ছেন। যদিও এটা সর্বোচ্চ পরিস্থিতি তা মানতে নারাজ এইমস-এর ডিরেক্টর বিখ্যাত চিকিৎসক রণদীপ গুলেরিয়া। তাঁর মতে, দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ার এখনও অনেক দেখা বাকি। কারণ দেশে এখনও করোনা ছড়িয়ে পড়া তার চুড়ো তো নয়ই, এমনকি মালভূমির উচ্চতাও ছোঁয়নি। অর্থাৎ দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়া এখনও প্রচুর বাড়বে। রণদীপ গুলেরিয়ার মতে, এখনও অনেক কঠিন সময় অপেক্ষায়।
অবশ্য এমন একটা চিন্তার কথা শোনানোর পাশাপাশি চিকিৎসক রণদীপ গুলেরিয়া অন্য একটি দিকও তুলে ধরেছেন। তাঁর মতে, ভারত একটু হলেও ভাল অবস্থায় থাকছে একটাই কারণে কারণ বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি টিকা উৎপাদন করে ভারত। বিশ্বের ৬০ শতাংশ টিকা ভারতই বানায়। ফলে ভারতের দ্রুত টিকা তৈরির ক্ষমতা রয়েছে। অক্সফোর্ড-এর টিকা বাজারজাত হলে তা তৈরি করবে সেরাম ইন্সটিটিউট। এছাড়া ভারতের নিজস্ব টিকাও ট্রায়াল স্তরে রয়েছে। অতি দ্রুত টিকা তৈরির চেষ্টাও চলছে।
এইমস ডিরেক্টর জানিয়েছেন, টিকা যত দ্রুত সম্ভব তৈরির চেষ্টা চলছে। এত দ্রুত তা করতে পারার কারণ পারস্পরিক সহযোগিতা। এই অতিমারি থেকে বেরিয়ে আসতে সব দেশই একে অপরকে সাহায্য করছে। গবেষক, উৎপাদনকারী সংস্থারা একযোগে চেষ্টা শুরু করেছে যাতে টিকা দ্রুত এনে ফেলা যায়।
রাশিয়া ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে তারা বিশ্বের প্রথম টিকা তৈরি করে ফেলেছে। যা সম্পূর্ণ সুরক্ষিত। যদিও রাশিয়ার এই টিকা নিয়ে সাবধানী চিকিৎসক গুলেরিয়া। তাঁর মতে, এই টিকা যে একদম নিশ্চিতভাবে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত ও কার্যকরী তা প্রমাণ হওয়া বাকি। তিনি বলেন, একটি টিকা বয়স্ক ও অন্য অসুখ থাকা রোগীদের ওপর প্রচুর সংখ্যায় প্রয়োগের পর তা সুরক্ষিত ও কার্যকরী প্রমাণিত হওয়া দরকার। তার কার্যকারিতা দীর্ঘস্থায়ী কিনা সেটাও দেখা প্রয়োজন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা