Health

টিকা উৎপাদনে ভারতের সাহায্য চাইছে রাশিয়া

তাদের টিকা উৎপাদনে ভারতের সাহায্য চাইছে রাশিয়া। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালেও তারা ভারতকে পাশে চাইছে।

নয়াদিল্লি : করোনা প্রতিষেধককে মান্যতা দিয়ে তাকে নথিভুক্ত করে রাশিয়া বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। তারাই প্রথম দেশ হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে করোনা প্রতিষেধক টিকা এনেছে। সেকথা সদর্পে ঘোষণাও করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তখনই প্রশ্ন উঠেছিল ভারত কী রাশিয়ার কাছে এই টিকা চাইবে?

প্রশ্নের উত্তরও দেয় কেন্দ্র। জানিয়ে দেয় বিষয়টি দেখার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি আছে। তারাই টিকা সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। যদিও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই এভাবে টিকাকে মান্যতা দেওয়া নিয়ে ভুরু কুঁচকে ছিলেন ভারতের অনেক বিশেষজ্ঞ।


রাশিয়া তাদের সেই টিকা স্পুটনিক ভি-র উৎপাদন কিন্তু শুরু করে দেয়। এদিকে সমালোচনা হলেও চিন একই পথে হাঁটে। তারাও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের আগেই তাদের টিকাকে মান্যতা দেয়। আমেরিকাও যে সেই পথেই হাঁটতে চলেছে তাও স্থির হয়েছে প্রায়। এমনকি ভারতও তাদের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি টিকা কোভ্যাক্সিন-এর তৃতীয় পর্যায় চলাকালীনই সেটিকে মান্যতা দিতে পারে বলে নানা মহলে গুঞ্জন। এই অবস্থায় রাশিয়া টিকা নিয়ে নিজেই ভারতের কাছে এগিয়ে এল।

নীতি আয়োগ-এর এক সদস্য জানিয়েছেন, রাশিয়া তাদের স্পুটনিক ভি টিকার উৎপাদনে জোর দিতে ভারতের সাহায্য চাইছে। প্রসঙ্গত বিশ্বে যত রকম টিকা উৎপাদন হয় তার ৬০ শতাংশই তৈরি করে ভারত। টিকা উৎপাদনে ভারতের বিশ্ব জুড়ে সুনাম আছে। ভারতের সেই পরিকাঠামো ও দক্ষতাকেই কাজে লাগাতে চাইছে রাশিয়া। যাতে তারা বেশি পরিমাণে স্পুটনিক ভি দ্রুত উৎপাদন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।


রাশিয়া টিকা উৎপাদনের পাশাপাশি ভারতে প্রয়োজনে তাদের স্পুটনিক ভি-এর তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালও চালাতে চাইছে। যে কোনও দেশই তাদের তৈরি টিকা অন্য দেশে ট্রায়াল করেও দেখতে চায়। সব রকম পরিবেশে তা খাপ খাচ্ছে কিনা, কার্যকরী হচ্ছে কিনা তা দেখে নিতে চায় তারা। এখন দেখার রাশিয়ার ডাকে সাড়া দিয়ে ভারত কতটা হাত বাড়ায়। কারণ ভারত যদি হাত বাড়ায় তাহলে তাদের রাশিয়ার কাছ থেকে স্পুটনিক ভি দ্রুত পাওয়ার সম্ভাবনাও বাড়বে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button