আরও এক চিনা ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা, সতর্ক করলেন বিজ্ঞানীরা
আরও এক চিনা ভাইরাস তার প্রকোপ ক্রমশ এ দেশে ছড়াতে পারে। সতর্ক করল আইসিএমআর।
নয়াদিল্লি : এক করোনা নিয়ে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। তারমধ্যেই আর এক চিনা ভাইরাস সম্বন্ধে সতর্ক করলেন বিজ্ঞানীরা। ভারতে এই ভাইরাসের খোঁজ মিলেছে। যা একটি চিনা ভাইরাস নামেই পরিচিত।
মূলত মশা বাহিত এই ভাইরাস ইতিমধ্যেই ভারতে প্রায় ১ হাজারের কাছে মানুষের মধ্যে পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে ২ জনের দেহে এই ভাইরাসকে প্রতিহত করার মত অ্যান্টিবডি-র খোঁজও মিলেছে। আর সেখানেই কিছুটা অবাক হয়েছেন পুনের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলজি-র বিজ্ঞানীরা।
মশাবাহিত এই ভাইরাসটির নাম ক্যাট কিউ ভাইরাস। যা মশার হাত ধরে মানুষের দেহে প্রবেশ করে। এই ভাইরাস থেকে প্রবল জ্বর, ম্যানিনজাইটিস এবং শিশুদের মধ্যে পেডিয়াট্রিক এনকেফেলাইটিস হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই চিন ও ভিয়েতনামে এই ক্যাট কিউ ভাইরাস-এর খোঁজ মিলেছে। যা মানব দেহে ছড়িয়েছে। মশা ও শূকরের মধ্যে এই রোগের জীবাণুর অস্তিত্ব দেখতে পাওয়া গেছে।
ভারতে এই ভাইরাস কতটা ছড়িয়েছে বা ছড়াচ্ছে তা জানতে আরও মানবদেহের সেরাম পরীক্ষায় জোর দিয়েছেন গবেষকরা। এভাবেই জানা যাবে এই করোনাকালে আপাত ব্রাত্য এই ভাইরাস কতটা ছড়াতে পেরেছে।
এদিকে বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন চিনে শূকরের মধ্যে এই রোগের প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা গেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গৃহপালিত শূকরের দেহে এই রোগের জীবাণুর অস্তিত্ব মিলেছে।
এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে দ্রুত আরও পরীক্ষার ওপর জোর দিয়েছেন গবেষকরা। যা থেকে জানা যাবে এই রোগ কতটা জাঁকিয়ে বসতে পেরেছে।
এক করোনা সামলাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে গোটা বিশ্বকে। ভারতের করোনা পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগের। এই পরিস্থিতিতে নতুন কোনও ভাইরাসের উপদ্রব হলে তা মরার ওপর খাঁড়ার ঘা-এর মত বিষয় হবে। যা রীতিমত বড় ধাক্কার কারণ হতে পারে।
আরও চিন্তা বাড়িয়েছে মশাবাহিত এই ভাইরাসের ভারতে খোঁজ পাওয়া যাওয়া। অর্থাৎ ইতিমধ্যেই ভারতে প্রবেশ করেছে ভাইরাসটি। ২ জনের দেহ তো অ্যান্টিবডির খোঁজও মিলেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা