ভারতে ৮ কোটি ৭০ লক্ষ করোনা রোগীর খোঁজ পেল আইসিএমআর
দেশে অগাস্ট মাসের শেষে করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৮ কোটি ৭০ লক্ষ। এমনই দাবি করল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর।
নয়াদিল্লি : ভারতে করোনা পরীক্ষার ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা রোগীর খোঁজ মিলেছে ৬১ লক্ষ ৪৫ হাজার ২৯১ জন। কিন্তু বাস্তবে সংক্রমণের শিকার রোগীর সংখ্যাটা তার চেয়ে অনেক বেশি। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর তাদের সেরো-সার্ভের দ্বিতীয় পর্যায় শেষ করার পর এমনই মনে করছে।
তাদের মতে অগাস্ট মাস শেষ হওয়ার মধ্যে ভারতে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা পৌঁছে গেছে ৮ কোটি ৭০ লক্ষে।
ভারতে করোনা ছড়ানোর পর থেকে বহু মানুষ উপসর্গহীনভাবে করোনা সংক্রমণের শিকার। তাঁদের মধ্যে করোনা যে বাসা বেঁধেছে তা তাঁরা নিজেরাই জানেন না। কিন্তু যখনই পরীক্ষা হয়েছে তাঁদের অনেকের মধ্যে অ্যান্টিবডির খোঁজ মিলেছে। তার মানে এটাই দাঁড়াচ্ছে যে তাঁরা কোনও সময়ে করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছিলেন।
করোনা তাঁদের দেহে বাসা বাঁধার পর স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতার জোরে তাঁরা সুস্থও হয়ে গেছেন। আর করোনা তাড়াতে তাঁর দেহে স্বাভাবিক নিয়মে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গেছে।
সেরো-সার্ভের দ্বিতীয় পর্যায় শেষ করার পর আইসিএমআর মনে করছে দেশের প্রতি ১৫ জনে ১ জনের দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গেছে। অর্থাৎ অগাস্টের মধ্যে দেশের মোট বাসিন্দার ১৫ জনে ১ জন করে সংক্রমণের শিকার হয়েছিলেন কোনও না কোনও সময়ে।
দেশে ৬.৬ শতাংশ মানুষ অগাস্টের শেষের মধ্যেই সংক্রমণের শিকার হন। প্রথম পর্যায়ের সেরো-সার্ভের পর ভারতে ০.৭৩ শতাংশ মানুষের মধ্যে অ্যান্টিবডি পাওয়া গিয়েছিল। যা দ্বিতীয় ধাপের পর অনেক বেড়েছে বলে দেখেছে আইসিএমআর।
ভাইরাস ছড়ালেও তার প্রতি সংক্রমণ পিছু ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার হার কিন্তু কমেছে। আবার দেখা গেছে এখন শহুরে বস্তি এলাকায় সংক্রমণ অনেক বাড়ছে। তুলনায় শহরের অন্য জায়গায় তা কমেছে।
ভারতে ২১টি রাজ্যের ৭০ জেলার ৭০০টি গ্রাম ও ওয়ার্ড মিলিয়ে সেরো-সার্ভের দ্বিতীয় পর্যায় শেষ করা হয় অগাস্টের শেষে। যার ফল এবার প্রকাশ্যে আনল আইসিএমআর। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা