ভারতের তৈরি টিকা পৌঁছল শেষ পর্যায়ে
ভারতের তৈরি করোনা প্রতিষেধক টিকা কোভ্যাক্সিন তার মানব দেহে পরীক্ষার শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেল। এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত সফল এই টিকা।
নয়াদিল্লি : বিশ্বজুড়েই চলছে করোনা প্রতিষেধক টিকা তৈরির লড়াই। দেড়শোর ওপর টিকা দৌড়ে রয়েছে। যেগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি মানব দেহে পরীক্ষার তৃতীয় ও শেষ ধাপে রয়েছে। ভারতও পিছিয়ে নেই এই করোনা প্রতিষেধক টিকা তৈরির লড়াইয়ে।
ভারত বায়োটেক তৈরি করছে কোভ্যাক্সিন। আইসিএমআর–এর সাহায্য নিয়েই তৈরি করা হচ্ছে এই করোনা প্রতিষেধক টিকা। যা তার দ্বিতীয় পর্যায় পর্যন্ত চূড়ান্ত সফল বলেই জানানো হয়েছে।
অক্টোবর মাসের শুরুতেই এই টিকার তৃতীয় ও শেষ ধাপের ট্রায়াল শুরুর অনুমতি চেয়েছিল হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক। অবশেষে তা মিলল।
ভারত বায়োটেক নভেম্বর থেকেই শুরু করছে কোভ্যাক্সিন-এর তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল। তৃতীয় ও শেষ ধাপেও তা সাফল্য পেলেই টিকাটির উৎপাদন শুরু হবে। এখনও পর্যন্ত শক্তিশালী প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে টিকাটি।
ভারতে কোভ্যাক্সিন ছাড়াও আরও একটি টিকা তৈরি হচ্ছে। জাইডাস ক্যাডিলা নামে একটি সংস্থা করোনা প্রতিষেধক টিকা তৈরি করছে। যা তার ট্রায়ালের দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে। এটিও এখনও যথেষ্ট সফল বলেই জানা গেছে। এছাড়া অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি টিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল ভারতে চালাচ্ছে সেরাম ইন্সটিটিউট।
গত ১৫ অগাস্টেই ভারত বায়োটেক চিন্তাভাবনা করেছিল তাদের টিকা আনার। কিন্তু তা হয়ে ওঠেনি। ট্রায়াল সম্পূর্ণ না হলে টিকা আনা যাবে না বলেও স্পষ্ট করে দেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা।
এরমধ্যেই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি টিকার জন্য নথিভুক্ত এক স্বেচ্ছাসেবীর মৃত্যু হয়েছে ব্রাজিলে। যদিও তার জন্য ট্রায়াল স্থগিত হয়নি। তা যেমন চলছিল তেমনই চলছে। যদিও জনসন অ্যান্ড জনসন তাদের এক স্বেচ্ছাসেবী অসুস্থ হওয়ার পর ট্রায়াল স্থগিত করেছে।
বিশ্বজুড়ে এখন ৪ কোটি ২০ লক্ষের ওপর মানুষ সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। এঁদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১১ লক্ষ ৪৩ হাজার মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়। অন্যদিকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ কোটির ওপর মানুষ।