ইউরোপ থেকে আমেরিকায় হুহু করে বাড়ছে সংক্রমণ
ইউরোপ হোক বা আমেরিকা, ফের মাথাচাড়া দিয়েছে করোনা। রেকর্ড সংখ্যক দৈনিক সংক্রমণ ধরা পড়ছে বিভিন্ন দেশে। নতুন করে চিন্তায় প্রশাসন।
নিউ ইয়র্ক : ঠান্ডা পড়লে ক্রমশ বাড়বে সংক্রমণ। ফের তা মাথাচাড়া দেবে। কারণ ঠান্ডা করোনার জন্য অনুকূল পরিবেশ নিয়ে আসে। এমনই জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞেরা।
ইউরোপ ও আমেরিকায় এবার আস্তে আস্তে ঠান্ডা পড়ছে। হয়তো সে কারণেই ক্রমশ নতুন করে মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা সংক্রমণ। আমেরিকায় একদিনে রেকর্ড সংখ্যক সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
এতদিনেও আমেরিকায় একদিনে ৯০ হাজার সংক্রমণ দেখতে পাওয়া যায়নি। ওটা কেবলমাত্র বিশ্বের মধ্যে ভারতেই হয়েছিল। কিন্তু এবার আমেরিকাতেও ৯০ হাজারের ওপর সংক্রমণ ধরা পড়ল একদিনে। ফলে মার্কিন মুলুকে ভোটের মুখে নতুন করে করোনা ফের তাণ্ডব শুরু করে দিল।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যখন এমন পরিস্থিতি তখন পিছিয়ে নেই ইউরোপও। ফ্রান্সেই গত একদিনে প্রায় ৫০ হাজার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। যা ফ্রান্সে রেকর্ড। প্রসঙ্গত ফ্রান্সে গত শুক্রবার থেকে ফের দেশ জুড়ে লকডাউন শুরু হয়েছে।
কেবলমাত্র কর্মস্থলে যেতে, বাড়ির অত্যন্ত জরুরি কাজ করতে, অসুখবিসুখের কারণে বা বাড়ির ধারে কাছে একটু শরীরচর্চা করতে মানুষ ঘর ছেড়ে বার হতে পারবেন। অন্য কোনও কারণে বাড়ি থেকে বার হওয়া যাবে না।
শুধু ফ্রান্স বলেই নয় রাশিয়া, স্পেন, ব্রিটেন সহ ইউরোপের অনেক দেশেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গেছে। সেকেন্ড ওয়েভ বা দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে আমেরিকাতেও। ফলে পরিস্থিতি ফের জটিল আকার নিচ্ছে।
হাসপাতালগুলিতে ক্রমশ ভিড় বাড়ছে। নতুন করে পরিস্থিতি জটিল আকার নেওয়ায় ব্রিটেনও দেশজুড়ে লকডাউনের পথে হাঁটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তেমন ইঙ্গিতও মিলেছে প্রশাসনের তরফে। রাশিয়াতেও হুহু করে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ।
করোনা প্রতিরোধক টিকা তৈরির চেষ্টায় খামতি নেই। হু জানাচ্ছে বিশ্বজুড়ে প্রায় ২০০-র কাছে টিকা তৈরির চেষ্টা চলছে। যার মধ্যে ৪৪টি ট্রায়ালের স্তরে রয়েছে।
এমনও শোনা যাচ্ছে যে নভেম্বরেই ব্রিটেনে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার টিকাকরণ শুরু হয়ে যেতে পারে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা