আশা জাগাল করোনা সারাতে ৯০ শতাংশের ওপর সিদ্ধহস্ত টিকার পরীক্ষা
বিশ্বজুড়ে প্রায় ২০০-র কাছে টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা চলছে। তারমধ্যে বেশ কিছু টিকা তাদের পরীক্ষা স্তরের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এমনই একটি টিকা আশা জাগাচ্ছে।
নিউ ইয়র্ক : বিশ্বজুড়ে অনেকগুলি টিকাই তার মানবদেহে পরীক্ষার শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তেমনই একটি টিকা তার তৃতীয় স্তরের পরীক্ষার শেষ ধাপে রয়েছে।
তৃতীয় ধাপে তা কতটা সাফল্য পেল তার খতিয়ান পেশ করেছে উৎপাদক সংস্থা। আর সেখানে চূড়ান্ত সাফল্যই পরিলক্ষিত হয়েছে। ৯০ শতাংশের ওপর ওই টিকা তৃতীয় স্তরের পরীক্ষায় মানবদেহে করোনা ঠেকাতে কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে বলেই দাবি করা হয়েছে।
মার্কিন সংস্থা ফাইজার ও জার্মান সংস্থা বায়োএনটেক-এর যৌথ উদ্যোগে যে টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছিল তা এখন শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
এই তৃতীয় পর্যায়ে তা কতটা সাফল্য পেল তা জানাতে গিয়ে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে এটা বিজ্ঞান ও মানবতার ক্ষেত্রে একটা দারুণ সাফল্য। তাদের তৈরি টিকা পরীক্ষায় দেখা গেছে টিকাটি ৯০ শতাংশের ওপর করোনা রুখতে সক্ষম। যা কার্যতই অভাবনীয় সাফল্য।
করোনায় ছারখার বিশ্বে এখন সকলেই প্রায় তাকিয়ে আছেন একটি সঠিক করোনা রোধী টিকার দিকে। যা কার্যকরীও হবে আবার সুরক্ষিতও হবে। সেই দৌড়ে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি টিকা। যা মনে করা হচ্ছে ব্রিটেনে হয়তো নভেম্বরের শেষেই সাধারণের জন্য এসে যেতে পারে।
মার্কিন মুলুকের মডার্নাও তাদের টিকা প্রায় বার করল বলে। এরমধ্যেই ফাইজারের এই সাফল্যের ঘোষণা বিশ্ববাসীকে আশার আলো দেখাল।
ফাইজারের টিকাটি যদি সঠিক সময়ে সাধারণ মানুষকে দেওয়ার সবুজ সংকেত পেয়ে যায় তাহলে তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছতে পৌঁছতে এই বছরের শেষ। বিশ্বজুড়েই কয়েকটি টিকা এখন যে অবস্থায় রয়েছে তাতে সেগুলি হয় এ বছরের শেষে অথবা সামনের বছরের শুরুতেই প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পেয়ে যাবে। আর তারপরই শুরু হয়ে যাবে সাধারণ মানুষের দেহে তা প্রয়োগ।
টিকাকরণ শুরু হলে বিশ্বের মানুষ হাঁফ ছেড়ে বাঁচবেন। করোনা থেকে মুক্তির স্বাদ সত্যি করেই তাঁদের হাতের মুঠোয় এসে যাবে। তার আগে অবশ্য এখনও কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে সকলকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা