ফাইজারের কার্যকারিতাকেও ছাপিয়ে গেল আর এক মার্কিন টিকা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনা প্রতিষেধক একাধিক টিকা তার কার্যকারিতার রিপোর্ট পেশ করা শুরু করেছে। এ সপ্তাহে আর এক মার্কিন সংস্থা তাদের টিকার রিপোর্ট জানাল।
নিউ ইয়র্ক : ফাইজারের মত সংস্থা তাদের তৈরি করোনা প্রতিষেধক টিকা সম্বন্ধে গত সপ্তাহে তাদের রিপোর্ট পেশ করেছিল। যেখানে সংস্থা দাবি করেছিল তাদের টিকাটি ৯০ শতাংশ সফল হয়েছে করোনা প্রতিরোধে। একথা শোনার পর মার্কিন নাগরিকেরা খুশি হয়েছিলেন। এতটা কার্যকরী একটি টিকা আসতে চলেছে একথা ভেবে।
কিন্তু তাঁদের তো বটেই এমনকি গোটা বিশ্বের জন্যই আরও চমক অপেক্ষা করছিল। গত সপ্তাহে ফাইজারের পর এ সপ্তাহে তাদের রিপোর্ট পেশ করল মডার্না। আর সে রিপোর্ট আরও আশার আলো দেখাল।
মডার্না তাদের রিপোর্টে দাবি করেছে তাদের তৈরি করোনা প্রতিষেধক টিকাটির কার্যকারিতা ৯৪ শতাংশ সফল। তা ৯৪ শতাংশ কার্যকরী। ফলে তার কার্যকারিতা ফাইজারকেও ছাপিয়ে গেল।
এই ২টি টিকাই মেসেঞ্জার আরএনএ প্ল্যাটফর্মকে বেছে নিয়েছে তাদের টিকা হিসাবে। তবে আমেরিকায় মোট ৬টি সংস্থা তাদের টিকার ট্রায়ালে অনেকটা এগিয়ে গেছে। এছাড়া ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি টিকাও প্রায় টিকাকরণের পথে তৈরি। এখন কেবল কবে থেকে দেওয়া হবে তার দিনক্ষণ ঘোষণা বাকি।
ফাইজার তাদের কার্যকারিতা নিয়ে রিপোর্ট পেশ করার পরই কিন্তু রাশিয়া স্পুটনিক ভি কতটা কার্যকরী সে সম্বন্ধে জানিয়েছে। রাশিয়ার দাবি স্পুটনিক ভি ৯২ শতাংশের ওপর কার্যকরী।
ফাইজার তাদের টিকা ৯০ শতাংশ কার্যকরী ঘোষণার পরই স্পুটনিক ভি ৯২ শতাংশ সফল বলে জানানোর মধ্যে কী সেই ঠান্ডা যুদ্ধের গন্ধ লুকিয়ে রয়েছে? অনেকেই এই প্রশ্ন তুলছেন। এদিকে স্পুটনিক একথা জানানোর পরই এবার মডার্না জানাল তাদেরটা ৯৪ শতাংশের ওপর সফল।
এছাড়াও টিকার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে নোভাভ্যাক্স, স্যানোফি-গ্ল্যাক্সো, জনসন অ্যান্ড জনসন, অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এছাড়াও বেশ কিছু দেশে তাদের তৈরি টিকা ট্রায়াল পর্যায়ে সাফল্য পাচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে ভারতের ভারত বায়োটেক-এর কোভ্যাক্সিন টিকাও। যা তার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে প্রবেশ করছে।
ইতিমধ্যেই ভারতের সকলকে কোভ্যাক্সিন দেওয়া নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে সংস্থা। যদিও তা এক বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবেই নিচ্ছে তারা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা