উৎসবে করোনার বাড়বাড়ন্ত কতটা জানতে অপেক্ষা এখনও বাকি
উৎসবের মরসুম প্রায় শেষ। বিশেষজ্ঞেরা বারবার সতর্ক করছিলেন উৎসবের সময়ে করোনা বাড়ার সম্ভাবনা প্রবল। কতটা বেড়েছে তা জানতে আর কতদিনের অপেক্ষা জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
নয়াদিল্লি : উৎসব মানেই মানুষের সঙ্গে মানুষের মেলবন্ধন। কিন্তু সেই খুশির পরম্পরাতে এবার কাঁটার মত হাজির হয়েছে করোনা। কেরালায় ওনাম উৎসব হয়ে যাওয়ার পর যেভাবে সেখানে হুহু করে করোনা বেড়ে যায় তাতে প্রমাদ গোনে গোটা দেশ। তখনও দুর্গাপুজো, কালীপুজো, দিওয়ালী, ভাইফোঁটা বা ভাইদুজ, ছট পুজো সবই বাকি। যাকে এ দেশে উৎসবের মরসুম বলা হয়ে থাকে।
এক ওনামেই যদি এই অবস্থা হয় তাহলে উৎসবের মরসুমে দেশে করোনার কি হাল দাঁড়াবে তা ভেবে আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিশেষজ্ঞ থেকে চিকিৎসক অনেকেই।
সেই উৎসবের মুহুর্ত প্রায় শেষের পর্যায়ে। দুর্গাপুজো, কালীপুজো, দিওয়ালী, ভাইদুজ সবই হয়ে গিয়েছে। এদিকে এখন দেখা যাচ্ছে দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। সংক্রমণ কমছে। কমছে মৃত্যু। বাড়ছে সুস্থতার হার। যার প্রতিটিই আশাব্যঞ্জক।
ক্রমশ সুস্থতার হার বেড়ে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীর অনেকে হয়তো মনে করতেই পারেন যে আশঙ্কা করা হচ্ছিল তা অমূলক প্রমাণিত হয়েছে। খারাপ তো নয়ই, বরং পরিস্থিতি ভাল হচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক অন্য কথা বলছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ মঙ্গলবার জানিয়েছেন, হতে পারে দেশে ক্রমশ করোনা পরিস্থিতি ভাল হচ্ছে কিন্তু তা থেকে এটা প্রমাণ হয়না যে উৎসবের সময়ের প্রভাব কেটে গেছে বা উৎসবের কোনও প্রভাব পড়েনি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক মনে করছে ভারতে দুর্গাপুজো থেকে দিওয়ালীতে করোনা পরিস্থিতি কতটা খারাপ হল বা আদৌ খারাপ হয়েছে কিনা তা জানতে এখনও চলতি সপ্তাহ এবং সামনের সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে।
এই ২টি সপ্তাহে কড়া নজর রাখতে হবে করোনা পরিস্থিতির ওপর। কী খতিয়ান দৈনন্দিন আসছে তার ওপর। যদি দেখা যায় ২ সপ্তাহ পরেও বর্তমানের মতই সংক্রমণ বাড়ছে না বা তার চেয়েও কমেছে তাহলেই বোঝা যাবে উৎসবের সময়ের আসল পরিস্থিতিটা কী দাঁড়াল।
সেইসঙ্গে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে রাজেশ ভূষণের বার্তা, যদি কোনও করোনা উপসর্গ থাকে তাহলে তাঁরা যেন করোনা পরীক্ষা করিয়ে নিতে এতটুকু সংকোচ বোধ না করেন। বরং যত দ্রুত সম্ভব করোনা পরীক্ষা করিয়ে নেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা