২০২১ সালে আর এক মহামারি ছড়ানো নিয়ে সতর্ক করলেন বিজ্ঞানীরা
করোনার হাত ধরে আর একটি রোগ ২০২১ সালে মহামারির মত ছড়াতে চলেছে। এমনই এক আশঙ্কার কথা জানালেন বিজ্ঞানীরা। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শও দিলেন তাঁরা।
সিডনি : করোনার কারণে গোটা বিশ্ব এখন ছন্দছাড়া। ফলে অনেক কিছুই নিয়ম মেনে হচ্ছেনা। এই অনিয়ম ডেকে আনতে চলেছে আর এক মহামারিকে। যা গোটা বিশ্বকে গ্রাস করবে। অন্তত এমনই সতর্কবার্তা দিলেন বিজ্ঞানীরা।
২০২১ থেকে শুরু হবে এই মহামারির তাণ্ডব। যা সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করতে পারে শিশুদের। তবে এমন নয় যে বড়রাও তার হাত থেকে রেহাই পাবেন। সেই মহামারি সম্বন্ধে আগেভাগে সতর্ক করে বিজ্ঞানীদের পরামর্শ ওই রোগ আটকাতে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক গোটা বিশ্ব।
বিশ্বজুড়ে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে প্রায় ১০ মাস হল। এর মধ্যে গোটা বিশ্ব দেখেছে করোনার আতঙ্ক। সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত, মৃত্যুমিছিল। লকডাউনে স্তব্ধ দেশের পর দেশ।
গোটা বিশ্বটাই তার ছন্দ হারিয়ে ফেলে। যা এই নিউ নর্মাল জীবনেও এখনও পুরোটা ফিরে আসেনি। বরং ইউরোপে তো আবার করে লকডাউন শুরু হয়েছে অনেক দেশে। এই অবস্থায় অনেক শিশুর ক্ষেত্রেই সময়ে টিকাকরণ হয়নি বা হচ্ছেনা।
করোনার জেরে গত ১০ মাস ধরেই বিশ্বের সর্বত্র টিকাকরণ হয়নি অনেক শিশুর। হলেও যে কটি ঠিক যবে যবে দেওয়ার ছিল তা হয়নি। এই টিকাকরণ সময়মত না হওয়ায় ২০২১ থেকে শিশুদের মধ্যে হুহু করে বাড়তে পারে হাম। এমনই আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা। যা বিশ্বজুড়ে মহামারির আকার নিতে পারে।
গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি আর্থিক দিক থেকে অনেক পরিবারকে বিপদে ফেলেছে। এমন পরিস্থিতি হয়েছে যে অনেক পরিবার ঠিক করে খাবার পায়নি। তারই প্রভাব সরাসরি পড়তে চলেছে শিশুদের স্বাস্থ্যে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন ২০২১ সালে হাম সবচেয়ে ভয়ানক আকার নেবে বিশ্বের দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত দেশগুলিতে। কারণ সেখানেই করোনার জেরে আর্থিক ধাক্কা সবচেয়ে বেশি। যার জেরে শিশুরা সুষম আহার থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
আর এই সুষম আহার না পাওয়ার ফলে তাদের মধ্যে হাম হওয়ার সম্ভাবনা বেড়েছে। দ্রুত হামকে মহামারির আকার নেওয়া থেকে আটকাতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা আগে থেকে গ্রহণ করার আর্জি জানিয়েছেন গবেষকরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা